চুয়াডাঙ্গায় ভিক্ষুক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ভিক্ষুক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার আয়োজনে পৌরসভার মিলনায়তনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। বিশেয অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তা। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন পৌর কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মনি। সমাবেশে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের প্রায় ২০০ ভিক্ষুক উপস্থিত ছিলেন। সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান বলেন, ভিক্ষা কেউ অভাবে করে আবার কেউ স্বভাবে করে। ভিক্ষুকদের প্রথমে শনাক্ত করে এলাকার বিত্তবানদের সাথে ট্যাগ করে দেয়ার প্রতি জোর দেন।

পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, স্বাধীনতার পর কেউ ভিক্ষুকদের নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেননি। শেখ হাসিনা ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে ভিক্ষুক পেশা বিলুপ্তি করার ঘোষণা দিয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে পর্যায়ক্রমে পৌরসভার ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করা হবে। এ ভিক্ষুক সমাবেশে ভিক্ষুক মোস্তফা তাদের দুঃখের কথা বলতে গিয়ে বলেন, আজকের পৌর মেয়র আমার বাল্যবন্ধু। আমাদের যদি অর্থ দিয়ে সাহায্য করা হয় তাহলে আমরা ভিক্ষা ছেড়ে দেবো। পৌর মেয়রও তার বক্তৃতার সময় হলভর্তি ভিক্ষুকদের মাঝে নিজের বাল্যবন্ধু মোস্তফার মেধার প্রশংসা করে বলেন, বন্ধু তুই কেমন আছিস। তখনই পৌর মেয়র বাল্যবন্ধু মোস্তফাকে বলেন, কী করলে তোর এ ভিক্ষা করতে হবে না বল? মোস্তফাও জবাব দেয় যা করলে আমাকে অন্তত ভিক্ষা করতে হবে না সে ব্যবস্থা কর বন্ধু। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা বলেন ধর্মীয়, সামাজিক ও মানসিকভাবে ভিক্ষাবৃত্তি পেশাকে কেউ পছন্দ করেন না।

প্রধান অতিথি বক্তৃতার প্রথমেই বলেন, নবীর শিক্ষা করবো না ভিক্ষা। ভিক্ষাবৃত্তি ভালো কাজ নয়। বর্তমান সরকার প্রকৃত ভিক্ষুকদের চিহ্নিত করে ভিক্ষুক দূরীকরণও পুনর্বাসনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে এর সুফল আপনারা ভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গায় ভিক্ষাদূরীকরণ ও পুনর্বাসন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সমস্ত কর্মচারী-কর্মকর্তার একদিনের বেতন ৫৭ হাজার ৮৫৭ টাকা সেই অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে।