কাল ছিলো পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ

স্টাফ রিপোর্টার: পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ ছিলো কাল। বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪-১৬ মিনিটে শুরু হয় গ্রহণের উপচ্ছায়া পর্যায়। চাঁদের কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৫-৫৮ মিনিট থেকে ৬-০৩ মিনিট পর্যন্ত চাঁদের পূর্ণগ্রহণ থাকে। এ হিসেবে চাঁদের পূর্ণগ্রহণ থাকে ৬ মিনিট। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এ আমিন এ তথ্য জানান। তবে গতকাল চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের অধিকাংশ এলাকার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় চাঁদের তেমন কোনো আলোই বাংলাদেশ থেকে দেখা যায়নি।

গতকাল শনিবার এ বছরের দ্বিতীয় ও শেষ পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ ছিলো এটি। দেশের সকল এলাকা থেকেই গ্রহণটি দেখা যাওয়ার কথা থাকলেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার কারণে তা সম্ভব হয়নি। এরকম আর একটি চন্দ্রগ্রহণ দেখতে হলে বাংলাদেশের মানুষকে সাত বছর অপেক্ষা করতে হবে। বিরল এ পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ টেলিস্কোপের মাধ্যমে দেখানোর আয়োজন করে রাজধানীর একাধিক বিজ্ঞান ক্লাব ও সংগঠন।

এবারের চন্দ্রগ্রহণ ১৩২ সরোজ সিরিজের অন্তর্গত। বাংলাদেশ থেকে পরবর্তী পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ২০১৮ সালের ২৭ জুলাই। চন্দ্রগ্রহণের সময় সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে একই সরলরেখায় পৃথিবী চলে আসে। ফলে ওই সময় পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ায় পৃথিবী থেকে মনে হয় চাঁদ ধীরে ধীরে ঢেকে যাচ্ছে। গ্রহণ চলাকালীন চাঁদকে অনেকটা তামাটে বা লালচে চাকতির মতো মনে হয়। এর কারণ হলো, সূর্যের কিছু আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যদিয়ে বিকিরিত হয়ে চাঁদের ওপর পড়ে। সূর্য থেকে বিচ্ছুরিত অনেক রঙের মধ্যে লাল রং পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল দিয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি প্রতিসরিত হয়ে চাঁদের ওপর পড়ে, যে কারণে গ্রহণের চাঁদকে লাল দেখায়।

চন্দ্রগ্রহণ পর্যবেক্ষণের জন্য অনুসন্ধিত্সু চক্রসহ বেশকিছু সংস্থা নানা প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় খুব ভালো করে চাঁদের গ্রহণ চোখে পড়েনি। চন্দ্রগ্রহণ দেখতে বিভিন্ন সংগঠন টেলিস্কোপের সাহায্য নিয়েছিলো। চন্দ্রগ্রহণ পর্যবেক্ষণের জন্য বিজ্ঞান সংগঠন, অনুসন্ধিত্সু চক্রের প্রস্তুতি ছিলো লক্ষ্যণীয়। ঢাকার আফতাবনগর আবাসিক প্রকল্পের উত্তর প্রান্তে পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। কিন্তু আকাশ মেঘলা থাকার কারণে চন্দ্রগ্রহণ দেখা যায়নি। ঢাকার বাইরে অনুসন্ধিত্সু চক্র ও অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অব রুয়েট যৌথভাবে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে চন্দ্রগ্রহণ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পের আয়োজন করে।