আলমডাঙ্গা পাইলট হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষককে মারধর

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ন্যাক্কারজনক অভিযোগ উঠেছে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গিয়াস উদ্দীন ও তার ব্যবসায়িক অংশীদার কামরুলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় মামলাসহ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের ভোকেশনালের সিনিয়র ট্রেড ইন্সট্রাক্টর গিয়াস উদ্দীন ও শহরের কলেজপাড়ার নিজাম উদ্দীনের ছেলে তার ব্যবসায়িক পার্টনার কামরুল বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন দুপুরে। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান বিদ্যালয়ের মূলভবনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। রবিউল ইসলাম খান অভিযোগ করেন আমার স্কুল কেন্দ্রের কমিটি এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত একটি বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার ফিস ভুল করে নেয়। ওই টাকা কয়েকজনকে ভাগ করে দিতে বলেন তারা। এতে আমি রাজি না হয়ে ভুল করে নেয়া অতিরিক্ত টাকা স্ব স্ব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ফেরত দিতে চাই। এ সময় তর্কবিতর্ক হয়। প্রধান শিক্ষককে গিয়াস উদ্দীন গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে গিয়াস উদ্দীনের ব্যবসায়িক পার্টনার কামরুল ইসলাম প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলামকে উপুর্যপরি কিল-ঘুষি মেরে জখম করেন। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশের উপস্থিতি দেখে সটকে পড়েন গিয়াস উদ্দীন ও কামরুল ইসলাম।

এ লজ্জাজনক ঘটনার পরপরই বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত হন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির এক জরুরিসভায় এ বিষয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শেখ আব্দুল জব্বারকে আহ্বায়ক করা হয়। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট প্রদান করবে। এছাড়া গতকাল রাতে প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান দুজনকে আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।

এ বিষয়ে গিয়াস উদ্দীনের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনা তিনি ঘটাননি। ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত ছিলো না বলে দাবি করে তিনি বলেন এমনকি কামরুল তার সাথে ওই বিষয়ে মোটেও আলোচনাও করেনি।

গিয়াস উদ্দীনের সহকর্মীদের অনেকে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, ঘটনার নেপথ্যে অন্যান্যের হাত থেকে থাকতে পারে। কারণ এক বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি অতিরিক্ত যে নেয়া হয়েছে তা গিয়াসের জানার কথা নয়। এসএসসি পরীক্ষা গ্রহণের সাথে জড়িত শিক্ষক ছাড়া এটা জানা সম্ভব নয়। তাকে ইন্ধন দিয়ে কারা কী স্বার্থে এ লজ্জাজনক ঘটনার সূত্রপাত করেছে তাদেরও মুখোশ উন্মোচন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন অভিভাবকরা।