আলমডাঙ্গার ছোটপুটিমারীতে গ্রামে গর্ভপাত ঘটিয়ে স্ত্রী তালাক

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের ছোটপুটিমারী গ্রামে স্ত্রীকে নির্যাতনের পর পেটের সন্তান নষ্ট করে তালাক দিয়েছে গৃহবধূকে পাষণ্ড স্বামী। গ্রাম্য সালিসে ১৫ হাজার টাকায় আপস হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১ বছর আগে আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের ছোটপুটিমারী গ্রামের শাহিনের স্কুলপড়ুয়া কিশোরী মেয়ে শান্তার সাথে ৬০ হাজার টাকা কাবিনে বিয়ে হয় একই গ্রামের শহিদুলের ছেলে রনির। বিয়ের কয়েক মাস যেতেই শান্তা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। অল্প বয়সে সন্তান নেবে না বলে পেটের সন্তান নষ্ট করে সে। সেই কারণে শান্তার ওপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। তাকে গত কয়েকদিন আগে মারধর করে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় স্বামীর বাড়ির লোকজন। সে অসুস্থ হয়ে পড়লে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে ডাক্তার তাকে ৩ মাসের ব্যবস্থাপত্র দিয়ে ৬ মাসের বেডরেস্ট নিতে বলেন। গত ৪ দিন আগে শান্তার স্বামী লোক পাঠায় তাকে নিয়ে আসতে। সে যাবে না জানালে কৌশলে তালাকের কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় বলে শান্তা অভিযোগ করে জানায়। এ নিয়ে দু পরিবারের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। গতকাল গ্রাম্য সালিসে মাত্র ১৫ হাজার টাকায় আপস মীমাংসা করে ৭ হাজার টাকা শান্তাকে দিয়েছে বলে গ্রামসূত্র জানায়। এ ব্যাপারে শান্তার পিতা মোবাইলফোনে জানান, আমি ঢাকাতে থাকি আমার পরিবার ছোটপুটিমারী গ্রামে বসবাস করে। কিন্তু আজ তাদের অসহায় পেয়ে গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি আমার মেয়েকে দিয়ে জোরপূর্বক তালাকের কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে।