আখের গোছাতে আসিনি

এক কলামে মাথার ওপরে

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি দুর্নীতি করে আখের গোছাতে ক্ষমতায় আসেননি। দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছেন। তিনি পরবর্তী নির্বাচনের জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি ও দলীয় ইশতেহার তৈরির লক্ষ্যে বিষয়ভিত্তিক আলাদা সেল গঠন করতে উপদেষ্টা পরিষদকে নির্দেশ দেন। গতকাল শনিবার বিকেলে ধানমন্ডিতে তার কার্যালয়ে দলটির সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

বর্তমান সরকারে মেয়াদ ৩ বছর পূর্ণ হওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা ৩ বছর পূর্ণ করে ৪ বছরে পা দিয়েছি। একটানা ৮ বছর। কাজেই এখনকার পথ হবে আরও কঠিন পথ। আমাদের যে কাজগুলো আছে, সেগুলো শেষ করতে হবে। যাতে আমাদের দেশের মানুষ ভালো থাকে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮-এর নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ যে ওয়াদা করেছিলো, তার থেকে বেশি কাজ হয়েছে। এবার ৩ বছরে নির্বাচনী ইশতেহারের ওয়াদা বাস্তবায়নেও তার দল এগিয়ে আছে। তিনি আরও বলেন, ‘এটাই আওয়ামী লীগ। আমরা যা বলি তা করি, করতে পারি। আমাদের রাজনীতি জনগণের জন্য। যা করি জনগণের স্বার্থে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। আমাদের আগামী ইশতেহার আমরা ঠিক করবো। সেগুলি আমাদের এখনই চিন্তাভাবনা হচ্ছে।’ ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে দলের ইশতেহারে যে কাজের ওয়াদা করেছিলেন, তার দল কোনো কোনো ক্ষেত্রে তার চেয়ে বেশি কাজ করেছেন। ‘২০২১ সাল পর্যন্ত ইতিমধ্যে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছি। অনেকগুলি কিন্তু হয়ে গিয়েছে।’ ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে কী কী করণীয় এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, রাজনীতিতে একটা কথা মনে রাখতে হবে। দেশের কথা চিন্তা করে, মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা রাজনীতি করি। মানুষের কল্যাণে কাজ করছি, কাজ করব—এই চিন্তাটা যদি মাথায় থাকে, নীতিটা যদি ঠিক থাকে, তাহলে যেকোনো চড়াই-উতরাই পার হয়ে আমি মনে করি যে কাজগুলি করা যায় এবং যেকোনো অর্জন করা যেতে পারে। আওয়ামী লীগ সভাপতি দলীয় নেতা-কর্মীদের দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, আমি নিজের জন্য চিন্তা করি না, কী হলো না হলো। আমি তো আমার দেশের মানুষ কেমন আছে, তাদের কী অবস্থা, তারা ভালো আছে কি-না, তারা খেতে পাচ্ছে কি-না, তারা শিক্ষা পাচ্ছে কি না, চিকিৎসা পাচ্ছে কি না—এই চিন্তাই সব সময় করি। এই চিন্তা আমরা করি বলেই তো আমরা কাজ করে সফলতা পাচ্ছি। দলীয় নেতা-কর্মীদের আত্মবিশ্বাস ও সততার সঙ্গে চলার পরামর্শ দেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, সততা না থাকলে কোনো কাজ ভালোভাবে করা যায় না। এ সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান, কার্যনির্বাহী সদস্য মুন্নুজান সুফিয়ান, এস এম কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।