অদম্য তরুণদের হাতেই রয়েছে সেই ভবিষ্যতের চাবিকাঠি

অনূর্ধ্ব-১৯ যুব বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। এই অর্জনের গুরুত্ব ও তাত্পর্য বহুমাত্রিক এবং সুদূরপ্রসারী।

এবারের আয়োজনে ১৬টি দল অংশ নেয়। চূড়ান্ত পর্বে খেলার স্বপ্ন বাংলাদেশ দলের জন্য দুঃস্বপ্ন ছিলো না। তৃতীয় স্থান দখল করেই শুধু নয় বাংলাদেশ দলের খেলার ধরন ও নৈপুন্য দেখে দেশবাসী অনেকটাই নিশ্চিত ছিলো যে, ফাইনালে উঠছে মিরাজ বাহিনী। হলো না, অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়ে যায় ফাইনাল। দলগত ট্রফি হাতছাড়া হলেও মিরাজ সকলকে ছাপিয়ে ঔজ্জ্বল মেলে ধরেছে। যদিও তার শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি আকস্মিক নয়, তার খেলা সত্যিই শ্রেষ্ঠত্ব পাওয়ার দাবি রাখে। আইসিসির জরিপেও তার সুস্পষ্ট আভাস পাওয়া যায় আগেই। বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই ধারাবাহিকভাবে প্রতিভা ও নিষ্ঠার ঝলক দেখিয়েছে। শুধু তাই নয়, কঠিন তথা চরম অস্থিরতার সময়ে ঠাণ্ডা মাথায় অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকে সফলভাবে নেতৃত্বও দিয়েছে দলকে। ওই বয়সে তার দক্ষতা দেখে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের পর বাংলাদেশ আরও একজন বিশ্বমানের অলরাউন্ডার পেতে যাচ্ছে বলেই ধরে নিয়েছে। খুলনার সন্তান মিরাজের জন্ম ১৯৯৭ সালের ২৭ অক্টোবর। অনিবার্যভাবেই বলতে হয়, পার্শ্ববর্তী জেলা সাতক্ষীরার বিস্ময় যুবক মুস্তাফিজুর রহমানের কথাও। বয়সের ব্যবধান মাত্র দুই বছর। জাতীয় দলে পা রেখেই মুস্তাফিজ অর্জন করেছে বিশ্বখ্যাতি। সাকিব, মুস্তাফিজুর, মিরাজ নিজেদেরই নয়, গোটা বিশ্বে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছে শক্ত অবস্থানে। তুলে ধরেছে লাল সবুজের পতাকা।

অবশ্যই মিরাজরা জাতির সামনে উদীয়মান সূর্য। বাংলাদেশ যে আলোকিত ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে, মিরাজের মতো অদম্য তরুণদের হাতেই রয়েছে সেই ভবিষ্যতের চাবিকাঠি।