বদলে যাচ্ছে ফেসবুক প্রাইভেসি

মাথাভাঙ্গা মনিটর: সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত এ দু হিসেবেই ফেসবুক এগিয়ে। তবে প্রাইভেসি নীতি বা ব্যক্তি তথ্য সুরক্ষার প্রশ্নে ১২০ কোটি গ্রাহককে থেকে থেকেই হতাশ করছে ফেসবুক। এ নিয়ে চলছে দ্বৈত আইনি লড়াই। অবাধে ব্যক্তিতথ্য বিপণন এবং বিজ্ঞাপনী কৌশলে ফেসবুক কাজ করছে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠেছে। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য দিয়েছে। এ নিয়ে ফেসবুক কাজও শুরু করেছে। কিন্তু অভিযোগ আর আইনি মামলার বেড়াজালে ভালোই জড়িয়েছে ফেসবুক। খোদ যুক্তরাষ্ট্রের আদালতেই লড়তে হচ্ছে ফেসবুককে। এমনকি ফেসবুকের কাছে বিভিন্ন দেশ থেকে তথ্যও চাওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ফেসবুক খুব বেশি সহায়ক মনোভাবের পরিচয় দিচ্ছে না।

এ মুহূর্তে ফেসবুক দুটি কি ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করছে। একটি ইউজার নেম। অন্যটি প্রোফাইল পিকচার। কারণ এ দুটি তথ্য-উপাত্ত নিয়ে এসেছে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ। বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর কাছে চড়া দামে এসব ব্যক্তিতথ্য বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযুক্ত হয়েছে ফেসবুক। এ ইস্যুতে খুব বেশি সন্তোষজনক সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। এবারে তাই ফেসবুক প্রাইভেসিতে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে ফেসবুক। এক্ষেত্রে গ্রাহকই নির্ধারণ করবেন তার ফেসবুক তথ্য কোনো ধরনের সংশ্লিষ্ট মাধ্যমকে বরাদ্দ করা যাবে কি-না। এখানে অবশ্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাই মূখ্য মাধ্যম। ব্যক্তিতথ্যের অনিশ্চয়তা, অপব্যবহার এবং যথেচ্ছা বিনিময়কে কিছুটা কোণঠাসা করতেই ফেসবুককে আইনি তক্কে পড়তে হয়েছে। অচিরেই নেম, প্রোফাইল পিকচার, কনটেন্ট, বাণিজ্যিক লিঙ্ক, পৃষ্ঠপোষকতা এবং ব্র্যান্ড সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে বেশ কিছু নিয়মের পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ফেসবুকের চিফ প্রাইভেসি অফিসার (পলিসি) ইরিন ইগান বলেন, অচিরেই বিজ্ঞাপনী প্রচারে নেম, প্রোফাইল পিকচার এবং কনটেন্টের যথেচ্ছা ব্যবহার যেন না হয়, এ বিষয়ে ফেসবুক বাণিজ্যিক প্রচারণা এবং তথ্য দৃশ্যমান করতে অবশ্যই গ্রাহকের অনুমতির বিষয়টি নিশ্চিত করবে। তথ্য বিনিময়, বিপণন এবং তথ্যকে পাবলিক করতে ফেসবুক তার প্রচলিত রীতিতে ঢেলে সাজাচ্ছে। এ মুহূর্তে ফেসবুক গ্রাহক না হয়েও এ সামাজিক সাইটের তথ্য অবলোকন করা সম্ভব। কিন্তু নতুন নিয়মে এ সুবিধা প্রযোজ্য নাও থাকতে পারে।

এছাড়াও ফেসবুক অ্যাকসেস কোডের মাধ্যমে কম্পিউটার, মোবাইলফোন, আইপি অ্যাড্রেস, আইপি ফোন নম্বর, ব্রাইজার এবং যেসব পণ্য থেকে ফেসবুক অ্যাপলিকেশন ব্যবহার করা হয় এমন সব তথ্যই ফেসবুকের ডেটা স্টোরে জমা থাকে। এ প্রসঙ্গে ফেসবুকের ভাষ্য, গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) পদ্ধতিতে গ্রাহকের তথ্য, ভৌগলিক অবস্থান এবং সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলোকে পুনর্বিন্যাস করা হয়। অ্যাপ দিয়েও একই ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে থাকে ফেসবুক। তবে তা স্ট্যাটাসের কারণেই। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নয়।

কবে নাগাদ এ নীতিগত পরিবর্তন আনা হবে এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি ফেসবুক। সামাজিক সাইটে ব্যক্তিতথ্য সুরক্ষা রাইট টু ইনফরমেশন এর আওতায় পড়ে। এক্ষেত্রে গ্রাহক অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। এক্ষেত্রে কোনোভাবেই গ্রাহক হয়রানি প্রত্যাশিত নয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *