জীবননগরে গ্রামীণ সড়ক শাকডাটার দখলে : অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার বাঁকা, আন্দুলবাড়ীয়া ও হাসাদাহ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক এখন দুর্ঘটনার ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বীজের জন্য সড়কের বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে নেড়ে দেয়া হয়েছে শাকের গাছ। এ শাক গাছের ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীরা হরহামেশা দুর্ঘনায় পড়ে গুরুতরভাবে আহত হচ্ছেন। প্রতিনিয়ত ঘটছে এমন দুর্ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে উপজেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় আলোচনা হলেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে অহরহ ঘটে চলেছে দুর্ঘটনা।
জানা যায়, উপজেলার বাঁকা, আন্দুলবাড়িয়া ও হাসাদাহ ইউনিয়নে ব্যাপকহারে বীজের জন্য লালশাক বরবটিসহ অন্যান্য সবজির চাষ হয়ে থাকে। বীজের জন্য সবজি চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। সবজি শুকানোর জন্য নেই তেমন কোনো ব্যবস্থা। ফলে প্রতিবছরই বীজ চাষিরা শাকসহ অন্যান্য সবজি রাস্তার ওপর শুকাতে দেন। সচেতনার অভাবে এ কাজ তারা প্রতিবছরই করে থাকে। রাস্তা জুড়ে সবজি নেড়ে দেয়াতে প্রায়শ ঘটে দুর্ঘটনা। এছাড়া যাতায়াত করতেও কষ্ট ভোগ করতে হয়। চলতি মাসে উপজেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলাসভায় বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সবজি বীজ চাষিদের সচেতন করাসহ প্রতিরোধে নেয়া হয়নি কার্যকর পদক্ষেপ।
মিনাজপুর ঘোষনগর গ্রামের সবজি চাষি আব্দুল কাদের জানান, তিনি ৩ বিঘা জমিতে বীজের জন্য লাল শাক আবাদ করেছেন। শাকের বীজ মাড়াইয়ের জন্য জায়গা না থাকায় তিনি রাস্তার ওপর তা নেড়ে দিয়েছেন। যানবাহনের চাকায় সহজে মাড়াই বীজ বেরিয়ে আসায় তিনি এ কাজ করেন বলেন জানান। ব্যবসায়ী মসলেম উদ্দিন জানান, রাস্তার ওপর শাক নেড়ে দেয়াতে ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাতায়াত করতে হয়। স্লিপ করলেই ঘটে দুর্ঘটনা।
এ ব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহ্মুদুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাস্তার ওপর আর্বজনা, ফসলাদি ও নির্মাণ সামগ্রী রাখা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। যেসব চাষিরা রাস্তা দখল করে ফসল শুকাচ্ছে তাদেরকে প্রাথমিকভাবে নিষেধ করার জন্য থানা ও পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি। তাতে যদি কাজ না হয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিষয়টি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কেউ যাতে রাস্তা দখল করে অন্যের ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।