চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনের সামনে ইঞ্জিনে চড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল : নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা উদাসীন!

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনগুলোতে ইঞ্জিনের সামনে যাত্রীরা অবাধে চলাচল করলেও দেখার কেউ নেই । গতকাল রোববার দুপুর ১টার দিকে আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশনে রাজশাহী থেকে খুলনাগামী মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনে চারজন যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিনের সামনে বসে ভ্রমণ করলেও কেউ বাঁধা দেননি। অপরদিকে গতপরশু রাতে চুয়াডাঙ্গা শহীদ আবুল কাশেম সড়কের রেলক্রসিঙে গেটপড়ার আগেই ছুটে আসে ট্রেন। অল্পের জন্য একটি নৈশকোচের যাত্রীরা প্রাণে রক্ষা পায়।

স্থানীয় সচেতনমহল বলেছে, ঝুঁকিপূর্ণভাবে ট্রেনে চলাচলের কারণে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকলেও যাত্রীরা যেমন উদাসীন তেমনি উদাসীন রেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারাও। রেল ভ্রমণকে নিরাপদ করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সচেতন নাগরিকরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় রেলপথ আছে ৫৫ কিলোমিটার। এ রেলপথ দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী ও সৈয়দপুরে মৈত্রী এক্সপ্রেসসহ ১৬টি যাত্রীবাহী ট্রেনে ১০ হাজার যাত্রী এবং ৬টি মালবাহী ট্রেন চলাচল করে।

সড়কপথে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিবহন ব্যয় অতিরিক্ত হওয়ায় নিম্ন-মধ্যবিত্ত যাত্রীরা কম খরচে ট্রেনে ভ্রমণকে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তবে ট্রেন ভ্রমণ আরামদায়ক ও নিরাপদ হলেও এ রুটে মাদকচোরাকারবারীদের অত্যাচারে চলাচল করায় অসম্ভব হয়ে পড়ে । তাছাড়া দীর্ঘ ১৫০ বছর রেল চলাচলের বয়স হলেও বাড়েনি আধুনিক সুযোগ সুবিধা । আধুনিক সুবিধা বৃদ্ধি এবং লাইন সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিলে ট্রেন ভ্রমণ হতো আরামদায়ক।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা এএসআই মো. খোরশেদ আলম জানান, ট্রেনগুলোতে যাত্রীরা যাতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করতে না পারে সেদিকে তাদের দৃষ্টি রয়েছে। তবে কোথাও কোথাও এ ধরনের খবর পাওয়া যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।