কেন্দ্রীয়ব্যাংকের নির্দেশ অমান্য করেই চলছেব্র্যাক ব্যাংক

 

স্টাফ রিপোর্টার: ব্র্যাকব্যাংকের ইন্টারনেট সেবা ত্রুটিমুক্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক বারবার নির্দেশদিলেও তা আমলে নিচ্ছে না ব্যাংকটি। ফলে গ্রাহদের অনলাইনভিত্তিক হিসাব এখনওঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। রোববার আবারো ই-ব্যাংকিংয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণেপ্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি)নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, অনলাইন কার্যক্রমের নিরাপত্তা দুর্বলতার সুযোগে ব্র্যাক ব্যাংকের বেশকয়েকজন গ্রাহকের হিসাব হ্যাককরে অর্থ স্থানান্তরের প্রমাণ পাওয়া যায়। গতঅক্টোবর ও নভেম্বরে ব্র্যাক ব্যাংকের অন্তত ৩০টি হিসাব থেকে একই ব্যাংকেরঅন্য হিসাবে অনলাইনে ২০ লাখ টাকার মতো সরিয়ে নেওয়া হয়। এসব অভিযোগেরপ্রেক্ষিতে ব্র্যাক ব্যাংকের ইন্টারনেট সেবা প্রক্রিয়া পরীক্ষা-নিরীক্ষাকরে মারাত্মক ত্রুটি পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন দল। তাই ইন্টারন্টেসেবা প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী ও ঝুঁকিমুক্ত করতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়ারনির্দেশ দেওয়া হয়।

কিন্তু এসব নির্দেশ পালন করেনি ব্যাংকটি।ই-ব্যাংকিংয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আবারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্র্যাক ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং প্রক্রিয়াসম্পূর্ণভাবে অটোমেটেড না হওয়া এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পদ্ধতিগত যথেষ্টত্রুটি রয়েছে। তাই আমানতকারীর স্বার্থের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করারজন্য ব্যাংকটির ইন্টারনেট ব্যাংকিং প্রক্রিয়ায় জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজনীয়পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে হবে।

যেহেতু ব্র্যাক ব্যাংকের  ভুক্তভোগীবেশি তাই পাসওয়ার্ড পরিবর্তনে কমপক্ষে ২৪ সময় নিতে হবে। এছাড়া স্বয়ংক্রিয়সংরক্ষণ ব্যবস্থায়  ই-ব্যাংকিং গ্রাহকের কিছু নিরাপত্তামূলক প্রশ্নাবলী এবংএর উত্তর ওয়েট সিস্টেমে গ্রাহক কর্তৃক নিজেই ইনপুট দেওয়া এবং পরবর্তীতেউক্ত তথ্য হতে পাসওয়ার্ড রিসেট করার সিস্টেম আগামী ৩০ জুনের মধ্যে চালুরকরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মোবাইল ও জিমেইলে যে ‘ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড’ (ওটিপি) চালু করা হয়েছে তা না করে সফটওয়ার বা হার্ডওয়ার টোকেনভিত্তিক করতেহবে। ইন্টারনেট ব্যাংকিং সোব সম্পর্কিত সার্বিক বিষয়ে ব্যাংক কর্তৃকসম্পাদিত তদন্ত প্রতিবেদন, ব্যাংকের সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে গুলশান থানা ওদুর্নীতি দমন কমিশন কি ব্যবস্থা নিয়েছে তার প্রামাণিক দলিল, ক্ষতিগ্রস্থঅভিযোগকারীদের হিসাবে টাকা জমা করার প্রমাণ, কোনো নিদের্শনা বলে ব্যাংকসংশ্লিষ্ট হিসাব ডেবিড করার শর্তারোপ করেছে তার ব্যাখ্যা আগামী ৩০ তারিখেরমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়াব্র্যাক ব্যাংকের ইন্টারনেট সেবার ত্রুটি ও তা দূর করার জন্য সুপারিশমালাসহপরিস্থিতিপত্র তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়েরনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘এডিশনার ফাক্টর পাসওয়ার্ড’ পদ্ধতি চালু করতে হবে।এটি শুধু ব্র্যাক ব্যাংক নয় সব ব্যাংক যেন কার্যকর করে সে বিষয়ে ব্যবস্থানিতে হবে। তাছাড়া নিজের পাসওয়ার্ড ও পিনকোড গোপনভাবে সংরক্ষণ করার বিষয়েগ্রাহক সচেতনতা তৈরিতে প্রচারণা চালানোর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণে পেমেন্টসিস্টেম বিভাগকে অনুরোধ করতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, ব্র্যাক
ব্যাংকের অনিয়মগুলো গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।তবে এ বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমানকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি তিনি।