ইরানের বিষয়ে সুর নরম ওবামার

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইরানের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড তার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে অর্থপূর্ণ চুক্তির ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে। পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দেশটির সাথে চুক্তিতে পৌঁছে যেতে বিদেশ নীতিতে গুরুত্ব দেয়া হবে এবং জোর চেষ্টা চালানো হবে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গত মঙ্গলবার দেয়া ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে নিজের নীতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন। তেহরানের পরমাণু ইস্যুর বিষয়টির সমাধা কূটনীতিকভাবে করার ওপর জোর দিতে এমন নরম সুর বক্তব্য দেন ওবামা। শুধু তাই নয়, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের জন্য কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র, এ ঘোষণায় দিয়েছেন ওবামা। ওবামা বলেছেন, এখন কথা ও কাজের মিল থাকতে হবে যা হবে স্বচ্ছ ও যাচাইযোগ্য। এর আগে ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞা আরোপ, নানা হুমকি-ধামকি শুনিয়েছিল তেহরানকে। কিন্তু নতুন প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি দায়িত্ব নেয়ার পর কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দেয় ওয়াশিংটন। ইরানও পরমাণু ইস্যু নিয়ে আলোচনা বসার প্রস্তাব দেয়। পরমাণু ইস্যু নিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যে সম্প্রতি চিঠি চালাচালিও হয়েছে। এরই মধ্যে তেহরানের সাথে সমঝোতার বিষয়টির দায়িত্বভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে দিয়েছেন ওবামা। ১৯৫৩ সালে ইরানের নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ব্যাপারে নিজ দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর ভূমিকার বিষয়টিও তুলে ধরেন ওবামা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভাষণে। ওবামা বলেন, এই অবিশ্বাসের শিকর অনেক গভীরে। ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন হস্তক্ষেপ ও স্নায়ুযুদ্ধের সময় দেশটির সরকারকে উৎখাতের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে দীর্ঘ দিনের অভিযোগ রয়েছে ইরানিদের। ওবামার এ মন্তব্যের মাধ্যমে ইরানের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোসাদেগকে উৎখাত করতে সিআইএর সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করলো মার্কিন প্রশাসন। তবে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি যে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য হুমকি স্বরূপ সেটিও পরিষ্কার করে বলে দেন ওবামা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়া ইস্যু বিশেষ করে সিরিয়া সংকট গুরুত্ব পায়।