মেহেরপুর গাংনীর হাড়িয়াদহের তকিরুল হত্যা মামলার রায় : স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামের তকিরুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি একই গ্রামের আব্দুল জব্বার ও তার স্ত্রী বেলিয়ারাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা টিএম মুসা এক জনাকীর্ণ আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে ওই দণ্ডাদেশ দেন। মামলার অপর ১০ আসামি হাড়িয়াদহ গ্রামের ইনফারুল, আত্তাহার, মাহাতাব, আব্বাস, খবির, মহিদুল ও নূরু ফকির এবং ধানখোলা গ্রামের মাসুদ, বজলু ও আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাদের বেকসুর খালাস দেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১১ জুলাই মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামের খয়েরউদ্দিনের ছেলে তকিরুল ইসলাম রাতের খাবার খেয়ে রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরের দিন বেলা ১১টার দিকে হাড়িয়াদহ গ্রামের মাঠের মধ্যে তকিরুল ইসলামের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার হয়। তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয় ও তার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিলো। ওই দিন নিহত তকিরুল ইসলামের বড়ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে হাড়িয়াদহ গ্রামের কাবাতুল্লাহ’র ছেলে আব্দুল জব্বার ও আব্দুল জব্বারের স্ত্রী বেলিয়ারাসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার এসআই শফিকুল ইসলাম ও এসআই গোলাম মোহাম্মদ ১২ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে বিজ্ঞ বিচারক এদিন আসামি আব্দুল জব্বার ও তার স্ত্রী বেলিয়ারাকে ওই সাজা দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি ছিলেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট কাজি শহিদুল এবং আসামি পক্ষের কৌসুলি ছিলেন অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম শাহীন ও অ্যাডভোকেট রমজান আলী।