ব্যাডমিন্টনে বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন আশিকের জাতীয় পর্যায়ে অংশ নেয়া হবে তো?

স্টাফ রিপোর্টার: ব্যাডমিন্টনে যশোর অঞ্চল পর্যায়ের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আশিকুর। জাতীয় শিশু পুরষ্কার প্রতিযোগিতায় সে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করে যশোর অঞ্চলে অংশ নেয় গত ১৬ জানুয়ারি। সেখানেই সে ৯ জেলার সেরাদেরকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন শিরোপা ছিনিয়ে নেয়। আগামীকাল ১৯ জানুয়ারি ঢাকা শিশু একাডেমি কার্যালয়ে হাজির হয়ে তাকে রিপোর্ট করতে হবে। আর ২০ জানুয়ারি হবে জাতীয় পর্যায়ে লড়াই। কিন্তু এ লড়াই-এ তার এখনকার প্রতিদ্বন্দ্বী টাকা। সে কি জাতীয় পর্যায়ে অংশ নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ যোগাড় করতে পারবে? আশিকুর রহমান আশিক ঝিনুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার রন্টু শেখের ছেলে আশিকুর রহমান আশিক। ২ বছর বয়সে আশিক মাকে হারায়। সেই থেকে বড় ভাই ইমরান, মেজ ভাই রাকেশের সাথে নানা রুস্তম শেখ ও নানী ফাতেমা খাতুনের সাথে শহরের ছাদেক আলী মল্লিকপাড়ায় থাকে। এ পাড়ার তরুণ সংঘ স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে গত ৩ বছর ধরে আশিক ব্যাডমিন্টন খেলে আসছে বলে জানিয়েছে। রাতেই তার খেলতে হয়। দিনে পাশের বাড়ির সুরভি বেগমের জমজ সন্তান রাফিন ও রায়িমকে দেখাশোনা করতে হয়। তার বয়স যখন ৫ তখন সে রাফিন আর রায়িমকে দেখাশোনা শুরু করে। অবশ্য রাফিনরা চুয়াডাঙ্গা ছেড়ে চলে যাওয়ায় এখন সে কাজটিও হারিয়েছে।
আশিকুরের এখন সময় কাটে পড়াশোনা আর ব্যাডমিন্টন খেলায়। তার জীবনের প্রথম প্রতিযোগিতা তরুণ স্পোটিং ক্লাবের লিগ চ্যাম্পিয়ন। গত ২৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় সে লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। জানুয়ারীতে শুরু হয় দেশব্যাপী শুরু হয় ‘জাতীয় শিশু পুরুষ্কার প্রতিযোগিতা।’ আশিকুর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সেরা হয়ে যশোর অঞ্চলে অংশ নেয়ার সুযোগ পায়। গত ১৬ জানুয়ারি যশোর অঞ্চলে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। জীবনের সাথে আশিকুর পৌঁছায় যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে। একাডেমির পাশের মাঠে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, নড়াইল ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ৯ চ্যাম্পিয়ন অংশ নেয়। সব সেরাকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে আশিকুর।
তাকে খেলায় সকল সময় সহযোগিতা করেছে লাল বানু, মোহর আলী, বাবর আলী মণ্ডল লালা, আব্দুল্লা ওমায়ের, রবিউল ইসলাম, বজলুর রহমান জীবনসহ অনেকেই। তার খেলার সাথী মেহরাজ, সাইদ, দোলা, রহিম, ইমরান, তানবিল, আরাফাত, সাবিদ ও আশিক।
এখন ১০ বছরের আশিকুরের জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আগামী কালের মধ্যে পৌঁছুতে হবে ঢাকা। সে কি জোগাড় করতে পারবে ঢাকা যাওয়ার অর্থ? হবে কি তার প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া?