ফলোআপ: মন্ত্রী-এমপিদের ডিওলেটার-সিলসহ গ্রেফতারকৃত আলমডাঙ্গার রুবেলের অপর সহযোগী জহরুল গ্রেফতার : উভয়কে জেলহাজতে প্রেরণ

জামজামি প্রতিনিধি: সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী তথা সকল এমপির ভুঁয়া ডিওলেটার প্যাড-সিল একাধিক মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র ও নানান ব্যাংকের চেকসহ কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে ভুয়া পিএ আলমডাঙ্গার রুবেলের (২৮) অপর সহযোগী কম্পিউটারম্যান জহুরুল ইসলাম (২৮)। ডিবি কাস্টডিতে জিজ্ঞাসাবাদকালে এ প্রতারকচক্রের মূলহোতা রুবেল ওরফে আজম স্বীকারোক্তিমূলক সহযোগীদের নামধাম ফাঁস করে দেয়। বিকেলে ডিবি পুলিশের ওসি ইন্সপেক্টর মুরাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিকেলে অভিযানে নেমে কুষ্টিয়া পূর্ব মজমপুরের বাসা থেকে প্রতারকচক্রের সহযোগী কম্পিউটারম্যান জহুরুল গ্রেফতার করেন। সিল তৈরির মেকার আজিজুর রহমানসহ অন্যরা দিয়েছে গাঢাকা। গতকাল সোমবার কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের শেষে গ্রেফতারকৃত কথিত ভুয়া সচিব ও তার সহযোগীকে সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ বিচারক দুজনকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়নের ঘোষবিলা গ্রামের মোল্লা আবুল বাশারের ছেলে সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সকল এমপির কমন পিএ তথাকথিত সচিব পরিচয়ধারী যুবক রুবেল। কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া জেলা ডিবি পুলিশ নজরদারি শুরু করে। মোবাইল ট্রাকিঙের মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত করে শহরস্থ পেঁয়ারাতলা গোরস্তান ময়দানের পেছনে জিন্নাত মঞ্জিল (চন্দ্রনালয়) ছাত্রমেসে পরশু রোববার বেলা ১১টার দিকে অভিযানে নামে ডিবি ওসি ইন্সপেক্টর মুরাদসহ সঙ্গীয়ফোর্স। এ সময় অভিযুক্ত প্রতারকচক্রের হোতা রুবেল ওরফে আজম (২৮) হাতেনাতে ধরা পড়ে। উদ্ধার করা হয় সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপি ডিও লেটার প্যাড-সিল, নিজনামে ৮টি ইউনিয়নের ঠিকানা ব্যবহার করে তৈরিকৃত জন্মনিবন্ধন সনদ তার পিতার নামে ৫টি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের স্মারক সনদ ও একাধিক ব্যাংকের চেকবই এসব তৈরির সরঞ্জাম। জব্দ করা হয় ভুয়া এ সব জাল কারবার। ডিবি কাস্টডিতে জিজ্ঞাসাবাদে সে পিতার দরিদ্রতা তার বেকারত্ব ও অসহায়ত্বের কথা বলে সহযোগীদের নামধাম ফাঁস করে চাঞ্চল্য তথ্য প্রদান করে।

এদিকে ডিওলেটার নিয়ে সম্পর্তি রুবেল নিজ এলাকার একটি মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠে ম্যানেজিং কমিটি ভেঙে দেয়ার পাঁয়তারা করে। দাবি জানানো হয় এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার তাকে ডিওলেটার প্রদানপূর্বক বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে আসীন হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। দুর্ভাগ্য রুবেলকে প্রধান শিক্ষক ফিরিয়ে দেন এবং বলেন যে, এ ব্যাপারে আদালতে মামলা থাকায় আইনি বাধা রয়েছে।