দামুড়হুদার চারুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে প্রকাশ্যে মাদক বিকিকিনি : প্রশাসন নিরব

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার চারুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অনেকটা প্রকাশ্যেই মাদকের রমরমা বিকিকিনি চলছে বলে এলাকাবাসি অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি দামুড়হুদা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা বিষয়কসভায় উত্থাপিত হলেও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। চারুলিয়া গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী লতা ওই পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দীর্ঘদিন ধরে মদ ও ফেনসিডিল বেচাকেনা করে আসলেও পুলিশের নিরব ভূমিকা নিয়ে এলাকাবাসির মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রতিদিন এলাকার উঠতি বয়সী স্কুল-কলেজগামী ছাত্রসহ বহিরাগতরা আসছে ওই মাদকের ঘাটিতে। ফলে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন এলাকার সচেতন অভিভাবক মহল। বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন এলাকার ভুক্তভোগি এলাকাবাসি।

জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদাহ ইউনিয়নের চারুলিয়া গ্রামের কত্যাম্প পাড়ার মৃত শসসের খাঁর ছেলে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী লতা দীর্ঘদিন ধরে চারুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পাশেই তার নিজ বাড়িতে প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা করে আসছে। এ ছাড়াও সে কখনো চারুলিয়া নয়নের চারা মোড়ের নিহাজের ছেলে হামিদুলের বাড়িতে আবার কখনও হোগলডাঙ্গার একটি লিচু বাগানে প্রতিদিন প্রকাশ্যে ফেনসিডিল ও মদ বেচাকেনা করে আসছে। আর এ সবই করছে চারুলিয়া ও হোগলডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের প্রত্যক্ষ মদদে। এলাকাবসি জানান, মাদক বিক্রেতা লতা প্রকাশ্যে বলে বেড়াই পুলিশের নিয়মিত কর দিয়েই সে ওই মাদক ব্যবসা করে আসছে। চারুলিয়া, হোগলডাঙ্গা, দামুড়হুদা থানার ওসি এমনকি ডিবি পুলিশও তার কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি গত মাসে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের আইনশঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভায় উত্থাপিত হলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানর ওসি কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। বিষয়টি আমি দেখছি বলেও তিনি জানান।

এলাকাবাসি আরো জানিয়েছেন, দামুড়হুদা থানা বা এলাকার পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ওই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী লতার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না। কারণ তার হাত নাকি অনেক লম্বা। ভুক্তভোগি এলাকাবাসি চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেছেন একমাত্র আপনিই পারবেন। আপনার হস্তক্ষেপ ছাড়া এ এলাকায় মাদক বেচাকেনা বন্ধ হবে না। ফলে ধ্বংস হবে এলকার যুবসমাজ। অবনতি হবে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি।