দশ দফা দাবিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের নিকট জাতীয় কৃষক সমিতির স্মারকলিপি পেশ

 

স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় কৃষক সমিতি ভুট্টা, ধান ও পাট কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন মূল্যে নির্ধারণসহ দশ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় কৃষক সমিতির নেতৃত্বে এক মিছিল থেকে নেতৃবৃন্দ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের নিকট এ স্মারকলিপি প্রদান করে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি আলাউদ্দিন ওমর ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়েছে, দেশের ৮০ ভাগ মানুষ কৃষিকাজের সাথে সম্পৃক্ত। কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল উৎপাদন করে। ফসল ওঠার পর তা বাজারব্যস্থার কারণে তার উৎপাদিত ফসল লোকসানে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। স্থায়ী বাজারব্যবস্থা না থাকায় ফড়িয়া মহাজনরা ফসল ওঠার সময় বাজারের ওপর প্রভাব বিস্তার করে কৃষককে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য করে। কৃষক ফসল উৎপাদন করে তার উৎপাদন খরচই ঘরে তুলতে পারে না। ফলে জমিহারা হয়ে ভূমিহীনে পরিণত হচ্ছে তারা। জমি চলে যাচ্ছে অকৃষকদের হাতে। অকৃষকরা সেই জমিতে খাদ্য না ফলিয়ে অন্যান্য চাষ করছে। ফলে দেশে এক সময়ে খাদ্য ঘাটতি দেখা যাবে। তাই এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারের কাছে দশ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি করা হয়েছে।

দাবিগুলো হলো- ভুট্টা ও ধানের মূল্যে সর্বনিম্ন এক হাজার টাকা মণ নির্ধারণ, পাটের মূল্যে সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা মণ, চুয়াডাঙ্গায় হিমাগার তৈরি ও আন্তর্জাতিক বাজারে কৃষিপণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করা, ডিজেল, সার ও সেচসহ সকল কৃষি উপকরণের বর্তমান মূল্যের অর্ধেক করা, গরিব ও দিনমজুরের জন্য পল্লী রেশনিং ব্যবস্থা চালু ও স্থায়ীকাজের ব্যবস্থা করা, বিদ্যুতের মূল্যে বৃদ্ধি না করা, সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কর্তৃক দামুড়হুদার কুলবিলা গুচ্ছ গ্রামের খাস জমি সমাজ বিরোধীদের বন্দোবস্ত দেয়া বন্ধ করা ও নিরীহ লোকজনের ওপর পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম শেখ, কৃষক নেতা দাউদ হোসেন ও আহসান আলী।