থেমেছে বৃষ্টি, আসছে দাবদাহ! চুয়াডাঙ্গায় ভ্যাপসা গরম

স্টাফ রিপোর্টার: বৃষ্টির দাপট কমে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাঙামাটি ও সিলেট ছাড়া বৃষ্টিহীনই রয়ে গেছে সারাদেশ। ছিটেফোঁটাও হয়নি চুয়াডাঙ্গায়। বৃষ্টি কমে যাওয়ায় বাড়ছে গরম। আগামী কয়েক দিন দাপট দেখাতে পারে এই উষ্ণতা। গতকাল চুয়াডাঙ্গায় ভ্যাপসা গরমে বিষিয়ে ওঠে মানুষ।
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গতকাল রাজশহীতে ৩৭ দশমি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। চুয়াডাঙ্গায় ছিলো ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপরও অসহনীয় ভ্যাপসা গরম কেন? আবওয়াবিদেরা বলেছেন, বৃষ্টির পর সূর্যের প্রখরতায় ভূপরিম-লের বাতাসে বাষ্পের উপস্থিতি বেড়ে যায়। ফলে পরিবেশ অসহনীয় হয়ে ওঠে। বাতাসে বাষ্পের মাত্রা হ্রাস পেলে তাপমাত্রা বাড়লেও কিছুটা স্বস্তি থাকে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, দাবদাহও বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এপ্রিল মাসের শেষ কয়েকটি দিন। প্রকৃতির এমন আচরণ হলে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, পুবালি ও পশ্চিমা বায়ুর মিলনে বাংলাদেশসহ আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি হয়েছিলো। হিমালয় থেকে আসা পশ্চিমা বায়ু কিছুটা শুষ্ক ও শীতল। আর বঙ্গোপসাগর থেকে উপকূলের দিকে আসে জলীয় বাষ্প মেশানো উষ্ণ পুবালি বায়ু। বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল ছিলো সাগর। এজন্য উত্তর বঙ্গোপসাগর ও দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। ১৮ এপ্রিল সকাল ছয়টা থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় মোট বৃষ্টি হয়েছে ১৫৮ মিলিমিটার। গড়ে প্রতিদিন বৃষ্টি হয়েছে ২২ দশমিক ৫৮ মিলিমিটার। এর মধ্যে গতকাল সকাল ছয়টা থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত ঢাকায় বৃষ্টি হয় ২৩ মিলিমিটার। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কুমিল্লায় ৬৯ মিলিমিটার। এরপর থেকে বৃষ্টিহীন হয়ে গেছে প্রায় পুরো দেশ। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টায় পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় রাঙামাটিতে ১০ ও সিলেটে ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশ উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা না থাকায় সতর্কতা সংকেত উঠিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, সামনের পাঁচ-ছয় দিন বৃষ্টি না হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রংপুর ও সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টিহীন এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।