অভিমানি হিমুর মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে নেয়া হয়েছে দিনাজপুর

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা বিদ্যুত বিতরণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলীর স্ত্রী হুমাইয়ারা তাছমিন হিমুর মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে তার নিজ বাড়ি দিনাজপুরের কালিতলায় নেয়া হয়েছে। গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে ময়নাতদন্ত শেষে হিমুর মা ও দু মামা লাশ গ্রহণ করেন। মৃতদেহ নেয়ার সাথে সাথে তার রেখে যাওয়া আড়াই বছর বয়সী শিশু সন্তানকেও সাথে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
একজন প্রকৌশলীর স্ত্রী, তাও আবার চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শিশুসন্তান রেখে আত্মঘাতী হলো কেন? পারিবারিক নির্যাতন? নাকি হুমাইয়ারা তাছমিন হিমুর অস্বাভাবি অভিমান তাকে আত্মহত্যায় উদ্বুব্ধ করেছে? এসব প্রশ্ন পরশু সন্ধ্যার পর থেকেই সচেতনমহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। গৃহপরিচারিকা কৃষ্ণার অভিমত, দিদি খুবই অভিমান ও একগুয়েমি ছিলেন। কারণে মাঝে মধ্যে তিনি নিজের শরীরে নিজে আঘাতও করতেন। ফুটফুটে সোনার টুকরো ছেলে রেখে যে আত্মহত্যা করতে পারে তা আমরা বুঝতেই পারিনি।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা ওজোপাডিকোর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী সুবক্তগীন শুভ প্রায় তিন বছর ধরে চুয়াডাঙ্গা রেলপাড়ার হুমায়ুন মিয়ার বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করে আসছিলেন। তিনি তার খালাতো বোন হুমাইয়ারা তাছমীন হিমুর সাথে বিয়ে করেন আনুমানিক ৪ বছর আগে। আড়াই বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে এ দম্পতির। গতপরশু সোমবার সন্ধ্যায় ওই বাসার একটি ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘরের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক বলেন, অনেক আগেই মারা গেছে। লাশ হাসপাতালেই রাখা হয়। খবর পেয়ে গতকাল দিনাজপুর থেকে ছুটে আসে তার মা ও দু মামা। মৃতদেহ নেয়া হয়েছে দিনাজপুরে। এদিকে কেন আত্মহত্যা? সে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে গৃহপরিচারিকা কৃষ্ণা বলেছে, শুনেছি ওদের এক মামা বিদেশ থেকে ফিরে বউ বাদ দেয়ার জন্য ২ লাখ টাকা সুবক্তগীন স্যারের কাছে চেয়েছিলো। ওই টাকা নিয়েই দিদির সাথে দাদার বিরোধ। সোমবার দুপুরে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ঘরে মধ্যে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন হিমু দিদি।