ঝিনাইদহের হাটবাজারগুলোতে নিম্ন মানের দস্তাসারে সয়লাব

 

মাল্টি ন্যাশনালগুলোও পিছিয়ে নেই ভেজালে

মনজুর আলম: ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলার হাটবাজারগুলোতে নিম্নমানের দস্তাসার (জিংক) সয়লাব হয়ে গেছে। দেশীয় কোম্পানির পাশাপাশি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিগুলোও পিছিয়ে নেই ভেজাল পণ্য বিক্রিতে। আবার কৃষিবিভাগ পণ্য জব্দ করে পরীক্ষাগারে পাঠিয়ে ভেজাল প্রমাণ পেলেও ওই একই পণ্য প্যাকেট এবং ব্যাচ নং পরিবর্তন করে বাজারজাত করা হচ্ছে। ফলে সহজ সরল কৃষকেরা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে।

জানা গেছে, ঝিনাইদহে ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কৃষি মন্ত্রণালয় ৫৭৪/২০০৮/৫৭৯ স্মারকে ভেজাল সার বিনষ্টকরণে পত্র দিলে ভেজাল পণ্য জব্দকরণ প্রসঙ্গে ব্যাপক আলোচনা হয়। সে সময় ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগ ২৪টি কোম্পানির দস্তাসার পরীক্ষাগারে প্রেরণ করে ১৫টি কোম্পানির দস্তাসারে পুষ্টি ঘাটতি দেখতে পায়। সেখানে দেখা যায় দেশীয় কোম্পানির পাশাপাশি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোও ভেজালসার বাজারজাত করে কৃষকদের অজ্ঞতার সুযোগে দেদারছে ব্যবসা করে কালো টাকার মালিক হচ্ছে। এ সম্পর্কে ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জয়নাল আবেদিন বলেন, ভেজাল দস্তাসার ও নিম্নমানের কৃষিপণ্য সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। তবে পরীক্ষাগারে প্রেরিত পণ্যের ফলাফল প্রাপ্তিতে বিলম্ব হওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট লটের পণ্য পাওয়া যায় না বিধায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে মামলা দায়ের বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় না।