Untitled

স্টাফ রিপোর্টার: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাকুড়তিয়া গ্রামে ঘরে ঢুকে দু সহোদর ও তাদের এক চাচাতো বোনের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে কুলসুম (১৮) ও তার আপন ছোট বোন স্বর্ণা (৬) মারা গেছে। তাদের চাচাতো বোন সাথীর (১২) অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরিবারের অভিযোগ, সম্প্রতি কুলসুম তার স্বামী মান্দার মোল্লাকে (৪০) তালাক দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মান্দার মোল্লা এ নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে মান্দার মোল্লা পলাতক। পুড়ে মারা যাওয়া কুলসুম ও স্বর্ণার পিতা আলতাফ মোল্লা জানান, ১১ মাস আগে মুকসুদপুর উপজেলার চণ্ডিবর্দি গ্রামের আ. ছাত্তার মোল্লার ছেলে মান্দার মোল্লার সাথে কুলসুমের বিয়ে দেন তিনি। ছেলে ঢাকায় ব্যবসা করেন বলে জানতেন তারা। কিন্তু বিয়ের পর মান্দার মোল্লার রহস্যজনক চলাফেরা ও আচরণ পারিবারিক বিরোধের সৃষ্টি করে। এর জের ধরে সম্প্রতি মান্দারকে তালাক দেন কুলসুম। আলতাফ মোল্লা বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে কৌশলে ঘরে প্রবেশ করেন মান্দার মোল্লা। এ সময় একই বিছানায় কুলসুম, স্বর্ণা ও সাথী ঘুমিয়ে ছিলো। মান্দার মোল্লা তাদের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। অগ্নিদগ্ধ সবাইকে প্রথমে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার রাতে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে কুলসুম ও স্বর্ণার মৃত্যু হয়। সাথী গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।