জামায়াত ১৩ নেতাকর্মীর আত্মসমর্পণ : জেলহাজতে প্রেরণ

দর্শনায় পুলিশের গুলিতে শিবিরকর্মী রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় শিবিরকর্মী কলেজছাত্র রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় জামায়াতের ১৩ নেতাকর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তারা। আদালতের বিচারক মুস্তাফিজুর রহমান তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আত্মসমর্পণকারীরা হলেন- দামুড়হুদা উপজেলার রামনগর গ্রামের খায়ের উদ্দীনের ছেলে শামসুল ইসলাম, দলকালক্ষ্মীপুর গ্রামের জয়নাল ম-লের ছেলে আয়নাল হক, চন্দ্রবাস গ্রামের গোলামের ছেলে আবদুল খালেক, মিনহাজ উদ্দীনের ছেলে মাওলানা শেখ সাদী, হোগলডাঙ্গা গ্রামের রফিক উদ্দীনের ছেলে ইসমাইল, নাটুদহ গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে মাওলানা ফজলুল হক, সড়াবাড়িয়া গ্রামের আবদুস সোবহানের ছেলে জামাত আলী, মোন্নাফ মোল্লার ছেলে আবদুল হান্নান মোল্লা, চুয়াডাঙ্গা সদরের সিলিন্দিপাড়ার আহাদ উদ্দীনের ছেলে আব্দুল মান্নান, আবদুল মজিদের ছেলে আব্দুল জলিল, জহির উদ্দীনের ছেলে জালাল উদ্দীন, সুজায়েতপুর গ্রামের ফকির চান গাজীর ছেলে শামসুল ইসলাম ও বিনোদপুর গ্রামের ওহিদুল ইসলাম হ্যাবার ছেলে আশরাফুল ইসলাম। পুলিশ জানায় আত্মসমর্পণকারী ১৩ জনই শিবিরকর্মী রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। তারা আদালতে হাজিরা না দিয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন।
পুলিশ জানায়, ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর দর্শনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রফিকুল ইসলাম (২২) নামে এক শিবিরকর্মী নিহত হয়। এ সময় আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনার পর দর্শনা বাজারে জামায়াত শিবিরের ৫ শতাধিককর্মী একটি পূজাম-পে হামলা চালায়। এতে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ ১৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। ওইদিন বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে জামায়াত শিবিরের শীর্ষ বেশ কয়েক জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ৫শ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করে।