চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউজ পুলিশ লাইনের সামনের সড়ক পৃথককরণ পাঁচিলে ধাক্কা মেরে মাইক্রোচালকসহ ৭ আরোহী গুরুতর আহত

স্টাফ রিপোর্টার: মাঝে মাঝেই চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউজের সামনের সড়কে সড়ক ডিভাইডারের সাথে ধাক্কা মেরে যানবাহনের চালকসহ আরোহীদের রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকেও ঘটেছে দুর্ঘটনা। সড়ক ডিভাইডারের সাথে ধাক্কা মেরে আহত হয়েছে মাইক্রোচালকসহ ৭ আরোহী। এর মধ্যে চুয়াডঙ্গার একজন ব্যাংকার ও যশোরের এক ইউপি চেয়ারম্যানও রয়েছেন। আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন যশোর কিরণগাছির গঙ্গানন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান বদর উদ্দীন বেল্টু (৪৫), যশোর শার্শা থানার শালকোমার মৃত সাফিুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩০), কুষ্টিয়া দৌলতপুরের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে চুয়াডাঙ্গার ব্যাংকার আলী হোসেন (৩৮), যশোর বাঘারপাড়ার জয়নযুল আবেদীনের ছেলে মাহমুদুর রহমান (৩৫), ঝিনাইদহ নগরবাথানের কুরাবন আলীর ছেলে নাসির উদ্দীন (৩৪), যশোর কাজীপাড়ার পুরাতন কসবার মৃত গফুর শেখের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৯) ও মাইক্রো চালক যশোর কোতয়ালীর বিরামপুরের শাহিনুর রহমান (৪০)।
দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে কয়েকজন ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, ইউপি চেয়ারম্যান বদরউদ্দীন বেল্টুর সাথে চুয়াডাঙ্গা আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার আলী হোসেনের সাথে পূর্ব পরিচিত। চুয়াডাঙ্গায় দেখা করে মাইক্রোবাসযোগে যশোরের উদ্দেশে রওনা হন ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্যরা। মহেশপুরের উদ্দেশে একই মাইক্রাবাসে যোগ দেন ব্যাংকারও। চুয়াডাঙ্গা শহর ছেড়ে জীবননগর সড়কের শুরুতেই সার্কিট হাউজ ও পুলিশ লাইনের সামনের রোড ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে মাইক্রোবাস গুড়িয়ে যায়। আহত হন চালকসহ আরোহীরা। ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করার ব্যবস্থা করেন স্থানীয়দের কয়েকজনসহ পথচারিরা।
প্রসঙ্গত: চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউজ ও পুলিশ লাইনের সামনের রোড ডিভাইডার তথা সড়ক পৃথককরণ পাঁচিরের মুখে ধাক্কা মেরে এর আগেও বেশ কিছু ট্রাক গুড়িয়ে গেছে। চালক হেলপার আহতও হয়েছেন। বেশ কয়েকটি মাইক্রোবাসও একই স্থানে দুর্ঘটার কবলে পড়ে। সর্বশেষ গতরাত ৭টার দিকে মাইক্রোবাস চালক শাহিনুর রহমানসহ তার গাড়িতে থাকা আরোহীরা হলেন দুর্ঘটনার শিকার হন।