চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ : দুজনের জবানবন্দি রেকর্ড

 

ধর্ষণের শিকার কলেজ  ছাত্রীকে বিয়ে করেছে আসামি আসিফ?

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি আসিফকে পুলিশ গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ধরতে পারেনি। আসিফসহ তার কয়েক সহযোগী ঘটনার দিন সদর হাসপাতালের ওই কক্ষের চাবি আরিফের নিকট থেকে জোর করে নেয়। জবানবন্দি দিতে গিয়ে আরিফ এ তথ্য দিয়েছে। অপরদিকে আসিফ একাই ধর্ষণ করেছে বলে কলেজ ছাত্রী তার জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই জসিম উদ্দীন জানিয়েছেন। এদিকে মামলার আসামি আসিফ ৫ লাখ ১ টাকা দেনমহরে ইতোমধ্যেই ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে করে মামলা থেকে রেহায় পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে গুঞ্জন ওঠেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিষয়টি শুনেছেন বলে জানালেও বিয়ের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তেমন কেউই মুখ খোলেননি। তবে এক আত্মীয় বলেছেন, স্থানীয় কাজী জিন্না গত সোমবার বিয়ে পড়িয়েছেন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এক রোগী। তার খালাতো বোন আলমডাঙ্গার বড় গাংনীর মেয়ে কলেজ ছাত্রী  হাসপাতালে দেখতে এসে ধর্ষণের শিকার হন। ঘটনাটি ঘটে গত ১৭ মে। বিষয়টি প্রথমে গোপন করার চেষ্টা করে ধর্ষকসহ তার লোকজন। গুঞ্জন ছড়াতে থাকে চতুর্দিক। অপরদিকে ধর্ষক মোবাইলফোনে ওই কলেজ ছাত্রীকে আবারও ধর্ষণের জন্য ডাকতে থাকে। উপায় না পেয়ে কলেজ ছাত্রী ২৪ মে বিষপানে আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালায়। জানাজানি হলে দৈনিক মাথাভাঙ্গায় গুরুত্বসহকারে বিষয়টি তুলে ধরা হয়। মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. আহিদুল ইসলাম ওরফে মানি খন্দকার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তিনি গতকাল এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালতের আদেশে মামলাটি সদর থানায় রেকর্ড করা হয়। তদন্ত করছেন এসআই জসিম উদ্দীন। তিনি ইতোমধ্যেই মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধরায় ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালের যে কক্ষে স্বেচ্চাসেবক আসিফ ধর্ষণ করে সেই ঘরের চাবি যে আরিফের নিকট থেকে নেয়া হয়, সেই আরফিরেও জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় প্রথম আসামি আসিফ চুয়াডাঙ্গা বেলগাছির আতিয়ার রহমানের ছেলে আসিফকে পুলিশ গতকাল পর্যন্ত ধরতে পারেনি। অপরদিকে জোর গুঞ্জন উঠেছে, আসিফ ইতোমধ্যেই ধর্ষণের শিকার ওই কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করেছে। ৫ লাখ ১ টাকা দেনমহরে বিয়ে হয়েছে বলে অনেকে শুনলেও সত্যতা নিশ্চিত করেননি কেউ। নিকটজনদের তেমন কেউ বিয়ের বিয়ে মুখ খোলেননি। তবে গাংনী ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানসহ অনেকেই বলেছেন, বিয়ে হয়েছে বলে শুনছি। সত্যি-মিথ্যা নিশ্চিত করে বলতে পারবো না। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাও বলেছেন, বিয়ে হয়েছে বলে শুনেছি। তাতে মামলার কিছু যায় আসে না। তদন্তে অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে।