চুয়াডাঙ্গা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মাদকবিরোধী পৃথক তিনটি অভিযান

 

মহিলাসহ দুজন আটক : ঘুমের ইনজেকশন ও ফেনসিডিল উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সদস্যরা খানেকটা হঠাত করেই মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করেছে। গতকাল সোমবার দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পৃথক অভিযানে এক মহিলাসহ দুজনকে আটক করেছে। উদ্ধার করেছে ঘুমের ইনজেকশন, ফেনসিডিল।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা গুলশানপাড়ার মৃত বশির আলী বাঙালের ছেলে আলম দীর্ঘদিন ধরেই মাদকাসক্ত এবং মাদক বিক্রেতা হিসেবে চিহ্নিত। গতরাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সামনের একটি ফার্মেসির সামনে অবস্থান করছিলো সে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপপরিদর্শক আব্দুল হান্নান ও সহকারী উপপরিদর্শক নূর মোহাম্মদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আলমকে আটক করেন। এ সময় তার নিকট থেকে উদ্ধার করা হয় দু অ্যাম্পুল ঘুমের ইনজেকশন।

তুহিন ফার্মেসির সামনে থেকে আটকের সময় তার নিকট জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে ওই ফার্মেসি থেকে নয়, দৌলাতদিয়াড়র চূনুরীপাড়ার মিণ্টু ও তানজিলের নিকিট থেকে ঘুমের ইনজেকশন কিনেছে বলে স্বীকার করে বলে, বিক্রির জন্য নয় নিজের শরীরে পুস করার জন্যই ঘুমের ইনজেশন নিজের কাছে রেখেছিলাম। স্থানীয়রা অবশ্য অভিযোগ তুলে বলেছেন, ওই ফার্মেসির সামনে অনেকেই অবস্থান করে। যাদের সিংহভাগই মাদকাসাক্ত হিসেবে চিহ্নিত। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চুয়াডাঙ্গা দফতর থেকে জানানো হয়, আলম দীর্ঘদিনের মাদক বিক্রেতা। তাকে মামলাসহ গতরাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া করা হয়।

এদিকে দর্শনা অফিস জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল দর্শনার ঈশ্বরচন্দ্রপুর ও আকন্দবাড়িয়ায় মাদকবিরোধী পৃথক দুটি অভিযান চালিয়েছে। এ অভিযানে ১৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক লাকীয়া খানমের নেতৃত্বে একটি দল মাদকবিরোধী অভিযান চালায় দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুরের হানিফ আলীর ছেলে আবর আলীর বাড়িতে। এ সময় আবর আলী কৌশলে পালিয়ে গেলেও তার বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

অপরদিকে বেলা ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া গাংপাড়ার ইকরামুলের স্ত্রী পারভিনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পারভিনের ঘর তল্লাশি করে ৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। ইকরামুল পালিয়ে গেলেও আটক করা হয় পারভিনকে। এ ঘটনায় লাকীয়া খানম বাদী হয়ে গতকাল পারভিনের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এবং আবর আলীর বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।