চুয়াডাঙ্গা পৌরসচিব কাজী শরিফুল ইসলাম জেলহাজতে

ইপিআই সুপারভাইজারের দায়ের করা ধর্ষণ অপচেষ্টা মামলা ॥ আদালতে আত্মসমর্পণ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সচিব কাজী শরিফুল ইসলামকে নারী নির্যাতন মামলায় জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-৩ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান জামিন নামঞ্জুর করে এই আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত বছরের ১২ জুলাই চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা কার্যালয়ে ইপিআই সুপারভাইজার ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ তোলেন। তিনি সচিব কাজী শরিফুল ইসলামকে আসামি করে ১৬ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন-১ আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর কাজী শরিফুল ইসলাম উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন এবং নি¤œ আদালতে চার সপ্তাহ পর হাজির হওয়ার নিদের্শ দেন। কিন্তু শরিফুল নি¤œ আদালতে হাজির না হয়ে দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। আদালতের সরকারি কৌশলী বেলাল হোসেন (এপিপি) জানান, সোমবার আদালতে হাজির হয়ে কাজী শরিফুল ইসলাম আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থণা করলে বিচারক অধিকতর শুনানির জন্য আগামী ২৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এদিকে উচ্চ আদালতের আদেশ নিয়ে চাকরিতে যোগদানের জন্য দফায় দফায় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাতে গেলেও আফরোজা পারভীন দায়িত্ব পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, আমাকে আমার চাকরি থেকে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত করেন পৌর মেয়র। চাকরি থেকে অব্যাহতি দান স্থগিতাদেশ দেন উচ্চ আদালত। এ আদেশ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভায় দায়িত্বভার গ্রহণ করতে গেলেও তা দেয়া হচ্ছে না।