চুয়াডাঙ্গা বিদ্যুত বিতরণ বিভাগের ভারাপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলীর স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ॥ নেপথ্য নিয়ে প্রশ্ন

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্রী এক সন্তানের জননী হিমু রানীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি চুয়াডাঙ্গা বিদ্যুত বিতরণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী সুবক্তগীন শুভর স্ত্রী। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা রেলপাড়াস্থ ভাড়া বাড়ির একটি ঘর থেকে হিমুকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বলেন, হাসপাতালে নেয়ার অনেক আগেই মারা গেছেন ওই নারী।
ওজোপাডিকো চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী সুবক্তগীন শুভ দিনাজপুরের মানুষ। তিনি ৩ বছর ধরে চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত। রেলবাজারের পুলিশ ফাঁড়ির অদূরবর্তী হুমায়ুন মিয়ার বাড়ির দোতলায় ভাড়ায় সস্ত্রীক বসবাস করে আসছিলেন। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি বাড়ির লোকজনকে বলেন, স্ত্রী ঘরের মধ্যে রয়েছেন। দরজা খুলছে না। কয়েকজন দরজার অংশ-বিশেষ ভেঙে গলায় ফাঁস দেয়া নিথর দেহ উদ্ধার করে নেয়া হয় হাসপাতালে। আত্মহত্যা? নাকি অন্য কিছু? আড়াই বছরের একমাত্র ফুটফুটে শিশুপুত্রকে রেখে কি কোনো মা আত্মহত্যা করতে পারে? এ প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। মৃতদেহ গতরাতে হাসপাতালের লাশ রাখা ঘরে রাখা ছিলো। নির্বাহী প্রকৌশলী সুবক্তগীন শুভর নিকট থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া না গেলেও বাড়ির গৃহপরিচারিকা কৃষ্ণা বলেন, কলেজে পড়তেন। অনার্স ভতিয়ে হয়েছিলেন। আড়াই বছরের ছেলেকে আমার কাছে রেখে প্রাইভেট পড়তে যেতেন। আজও ( সোমবার) বিকেলে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার কথা ছিলো। বিকেলে বাসায় এসে দেখি ছেলে ঘুমোচ্ছে। দিদি ঢুকলেন পাশের ঘরে। দরজা দিয়ে দিলেন। পরে দাদা বাড়ি ফিরলে দরজা ভেঙে দেখেন ম্যাডামের গলায় ফাঁস দেয়া দেহ।