চুয়াডাঙ্গায় মহিলাসহ দুজন পুলিশের হাতে পাকড়াও

বিকাশ নম্বরে ভুয়া ম্যাসেজ দিয়ে ২২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রতারণা করে চুয়াডাঙ্গায় বিকাশের টাকা তুলতে এসে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন দামুড়হুদার ফুলবাড়ি গ্রামের সাজেদুল ইসলাম ও তার খালা পীরপুরকুল্লা গ্রামের জোছনা খাতুন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা কোর্ট সংলগ্ন একটি বিকাশ এজেন্টের কাছে ভুয়া ম্যাসেজের মাধ্যমে টাকা তুলতে গেলে তাদেরকে পুলিশে দেয়া হয়। তবে তারা প্রতারণার শিকার বলে পুলিশের কাছে জানিয়েছেন।

সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা কোর্টমোড় এলাকার বিকাশ এজেন্ট বিপুলের কাছে ২২ হাজার ৫শ টাকা তুলতে আসে। ওই বিকাশ এজেন্টের নম্বরে ওই টাকার একটি ম্যাসেজও আসে। কিন্তু বিপুল তার মূল ব্যালেন্স দেখে বুঝতে পারেন এটা ভুয়া ম্যাসেজ। ওই টাকার দাবিদার দুজনের সাথে বাগবিতণ্ডার পর বিপুল পুলিশে খবর দেন। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ ওই দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের পীরপুরকুল্লা গ্রামের খোদা বকশের মেয়ে জোছনা খাতুন (৩৮) ও কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে সাজেদুল ইসলাম (১৮) পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর বলেছেন, বৃহস্পতিবার (গতকাল) জোছনার মোবাইলে অজ্ঞাত একজন ফোন করে জানায়, গ্রামীণফোন থেকে লটারিতে তার নামে একটি ষোল লাখ টাকার গাড়ি বেধেছে। এ জন্য ২৫ হাজার টাকা বিকাশ করার জন্য বলা হয়। জোছনা প্রথমে আড়াই হাজার টাকা পাঠিয়ে জানায় আর টাকা নেই। অপরপ্রান্ত থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি জানায়, যেকোনো বিকাশ নম্বর দিলে আমরা টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছি। জোছনা ও সাজেদুল কার্পাসডাঙ্গার একটি বিকাশ নম্বর দিলে সেখান থেকে একটি ভুয়া ম্যাসেজের মাধ্যমে তারা ১০ হাজার টাকা তোলেন। একই কায়দায় চুয়াডাঙ্গা কোর্টমোড়ের বিকাশ এজেন্ট বিপুলের কাছেও একটি ভুয়া ম্যাসেজ দিয়ে আরো ২২ হাজার ৫শ টাকা তুলতে যায়। বিপুলের সন্দেহ হলে তিনি তার মূল ব্যালেন্স চেক করতে গিয়ে প্রতারণা ধরা পড়ে। তিনি পুলিশে খবর দিলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ জোছনা ও সাজেদুলকে আটক করে। তারা প্রতারণার কথা অস্বীকার করে বলেছে, তারাই প্রতারণার শিকার। তবে অনেকেরই সন্দেহ ভুয়া বিকাশ ম্যাসেজ দেয়া প্রতারকচক্রের সাথে জোছনা ও সাজেদুলের সম্পর্ক থাকতে পারে। এ বিষয়ে পুলিশ আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।