গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেস্তে : হামাস কমান্ডারের স্ত্রী-শিশুকন্যাসহ নিহত ১১

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ফিলিস্তিন-শাসিত গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ভেস্তে গেছে। সেখানেনতুন করে বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। এতে হামাসের সশস্ত্র শাখারপ্রধানের স্ত্রী ও শিশুকন্যাসহ অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে।প্রায় এক সপ্তা ধরে অস্থায়ীযুদ্ধবিরতি চলার পর গত মঙ্গল ও বুধবার গাজায় এ হামলা চালায়ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের জন্য হামাস ও ইসরায়েল পরস্পরকে দায়ী করেছে।

দু দফায় তিন ও পাঁচ দিনের পর গাজায় তৃতীয় দফায় ২৪ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির মেয়াদছিলো গতকাল স্থানীয় সময় মধ্যরাত পর্যন্ত। ওই মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টাআগেই হামলার মধ্যদিয়ে যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যায়।পরবর্তী যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো ধরনের সমঝোতা ছাড়াই মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত আলোচনাও ভেঙে গেছে।

গতকালরাতে গাজা সিটির একটি লক্ষ্যবস্তুতে চালানো ইসরায়েলি হামলায় তিনজন নিহতহয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাশেম ব্রিগেডসেরপ্রধান মোহাম্মেদ দায়িফের স্ত্রী ও শিশুকন্যা রয়েছে। কায়রোতে হামাসেরনির্বাসিত উপনেতা মুসা আবু মারজুক এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।নিহতআরেকজনের পরিচরের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হামলা থেকে দায়িফ রক্ষাপেয়েছেন কি-না,তা স্পষ্ট নয়। এর আগে তিনি একাধিক হামলা থেকে প্রাণে রক্ষাপেলেও গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।

গতকাল সকালে গাজায় চালানো ইসরায়েলি হামলায় আটজন নিহত হয়েছে। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য বলে স্থানীয় চিকিত্সা কর্মকর্তারা জানান।যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পর গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।ইসরায়েলের দাবি,গাজা থেকে ৫০টি রকেট ছুড়েছে হামাস। গতকাল ছোড়া হয়েছে আরও ২০টি। এতে কোনো ইসরায়েলি হতাহত হয়নি।

হামাসের সশস্ত্র শাখা কাশেম ব্রিগেডসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,ইসরায়েল দোজখের দরজা খুলেছে। তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে।গাজারকর্মকর্তারা বলছেন, গত ৮ জুলাই শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় ২ হাজার ২৮ জনফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে সহস্রাধিক। নারী-শিশুসহ হতাহতব্যক্তিদের অধিকাংশই বেসামরিক মানুষ।