গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টার: দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার দুই দিন পর দলের স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা পরিষদ ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবদের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্তই নেয়া হয়েছে বলে জানান, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের বিএনপির চেয়ারপারসন কার্যালয়ে এ বৈঠকে লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভিডিও ফোনে বক্তব্য রাখেন তারেক রহমান। তিনি তার বক্তব্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বলে জানান মির্জা ফখরুল।

দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে এ সভা পরিচালনা করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির উপায় বের করতে দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে রুদ্ধদ্বার এ বৈঠক হয়। সভা চলাকালে নিচে এসে সাংবাদিকদেরকে মির্জা ফখরুল বলেন, সভায় বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেন নেতারা। তবে তিনি কী কী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা বিস্তারিত বলেননি।

তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেলে সম্পূর্ণ একা সাধারণ একজন কয়েদীর মতো রাখা হয়েছে। অনতিবিলম্বে জেল কোড অনুযায়ী ডিভিশন দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। জেল কোড অনুযায়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে কোনো আবেদন ছাড়াই ডিভিশন দেয়ার নিয়ম। কিন্তু তাকে এখনো সাধারণ কয়েদীর মতো রাখা হয়েছে। তাকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়নি, খালেদা জিয়ার গৃহ পরিচারিকাকে সাথে রাখার অনুমতি দেয়া হয়নি। তিনি অসুস্থ। তার সুষ্ঠু চিকিত্সা দরকার। জেল কোড ভঙ্গ করার জন্য সরকারকে দায়ী থাকতে হবে। অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে জেল কোড অনুযায়ী ডিভিশন দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

ফখরুল জানান, লন্ডন থেকে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভিডিও ফোনের বক্তব্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা তার বক্তব্যে অনুপ্রাণিত। দল এখন আগের চেয়ে শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ বলেও দাবি করেন ফখরুল। এদিকে সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ। ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাব হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, মেজর জেনারেল (অব) রুহুল আলম চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাড. আহমদ আযম খান, অ্যাড. জয়নুল আবেদীন, অ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী, শওকত মাহমুদ প্রমুখ। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদ আবদুল কাইয়ুম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, গোলাম আকবর খন্দকার, অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, এমএ হক, অ্যাড. তৈমুর আলম খন্দকার, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফরহাদ হোসেন ডোনার প্রমুখ। যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হারুন অর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন এ্যানি চৌধুরী প্রমুখ। গুরুতর অসুস্থ থাকায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বৈঠকে আসেননি। এবং অসুস্থ থাকায় বৈঠকে উপস্থিত হয়ে চলে যান স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া।