খালেদা জিয়ার রায়ের কপি মেলেনি

স্টাফ রিপোর্টার: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের ৮ দিন পরও সার্টিফায়েড কপি (প্রত্যায়িত অনুলিপি) পাননি খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। গতকাল বিকেল ৪টায় রায়ের কপি পাওয়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। কিন্তু বিকেল সাড়ে পাঁচটার কিছু পরে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত-৫ থেকে তাদের জানানো হয় রায়ের সার্টিফায়েড কপির কাজ পুরোটা প্রস্তুত হয়নি। তাই বৃহস্পতিবার তা খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা পাচ্ছেন না। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানান, আদালত থেকে তাদের জানানো হয়েছে, রোববার অথবা সোমবার তাদের রায়ের সার্টিফায়েড কপি সরবরাহ করা হবে। এর আগে বুধবার খালেদার আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার রায়ের নকল তাদের সরবরাহ করা হবে। গতকাল সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, আমাদেরকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় রায়ের কপি দেয়ার কথা বলেছিলেন আদালতের পেশকার (বেঞ্চ সহকারী)। কিন্তু ৪টা থেকে অপেক্ষা করেও আমরা রায়ের কপি পাইনি। আদালত থেকে পেশকারের মাধ্যমে আমাদের জানানো হয়েছে, মূল রায়ের সঙ্গে রায়ের নকলের কপি মেলানো হচ্ছে। অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। বাকি অর্ধেক কাজ শেষ না করে সার্টিফায়েড কপি আমাদের দিতে পারছেন না। তিনি বলেন, আগামী রোববার অথবা সোমবার রায়ের কপি আমাদের দেয়া হবে বলে আদালত থেকে জানানো হয়েছে। সানাউল্লা মিয়া বলেন, আমরা আদালতের ল’ অফিসার। আমাদের নেত্রীর রায়ের কপি আমরা এখনো পাইনি। যে কারণে আমরা আপিল ফাইল করতে পারছি না। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের নেতাকর্মীদের মন খারাপ। তিনি বলেন, আদালতের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে রোববার যাতে আমাদের রায়ের কপি দেয়া হয়। যদি রায়ের কপি না পাই তাহলে আপিল ফাইল করতে পারবো না।

গত ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালতের বিচারক। একই সঙ্গে মামলার অন্য পাঁচ আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপি নেতা তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ জনের প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়। রায়ে আদালত উল্লেখ করেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলেও খালেদা জিয়ার সামাজিক ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায়ের পরই খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে তিনি ডিভিশনপ্রাপ্ত কারাবন্দি হিসেবে রয়েছেন। ৮ই ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার দিন রায়ের সার্টিফায়েড কপির (রায়ের প্রত্যায়িত অনুলিপি) জন্য মৌখিক আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। পরে ১১ই ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতে রায়ের কপির জন্য লিখিত অবেদন করেন খালেদার আইনজীবীরা। এ মামলার ৬৩২পৃষ্ঠা রায়ের জন্য ১২ই ফেব্রুয়ারি ৩ হাজার ফলিও কপি আদালতে দাখিল করেন খালেদার আইনজীবীরা।