শিগগির ডিএসইতে কমছে লেনদেনের সময়সীমা

স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনদিনে লেনদেন সম্পন্ন করার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ। ফলে ডিএসইতে শেয়ার লেনদেন নিষ্পত্তি চারদিনের পরিবর্তে তিনদিনেই সম্পন্ন হবে। তবে কোনো কারণে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে এ প্রক্রিয়া চালু করা না গেলে ৯ ফেব্রুয়ারি চালু করা হবে। ডিএসইর পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, নতুন লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা চালুর লক্ষ্যে নীতিমালা ও গেজেট প্রকাশের কাজ চলছে। এর আগে ডিএসইর কিছু ট্রেকহোল্ডার অটো ডেবিট প্রক্রিয়ার আওতাভুক্ত ছিল না। এতে এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে সময়ক্ষেপণ করতে হয়েছে। সমপ্রতি তা দ্রুত সম্পন্ন করতে ডিএসইকে নির্দেশ দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পরে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ তাদেরকে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে অটো ডেবিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়। সকল ট্রেকহোল্ডার অটো ডেবিট প্রক্রিয়ায় চলে আসায় লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা কমিয়ে আনতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই।

এ বিষয়ে ডিএসই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, ডিএসই’র সব সদস্য ইলেক্ট্রনিকস ফান্ড ট্রান্সফার (ইটিএফ) সুবিধার আওতায় আসায় শেয়ার লেনদেন নিষ্পত্তির সময় কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তায় লেনদেনের সময়সীমা কমিয়ে আনার প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হবে।

জানা গেছে, শেয়ার লেনদেন নিষ্পত্তির সময় কমিয়ে আনতে স্টক এক্সচেঞ্জের অনুরোধে দুই বছর আগে একটি নির্দেশনা জারি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সিএসই (চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ) এরই মধ্যেই লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা একদিন কমিয়ে এনেছে। তবে বেশ কিছু ডিলার অ্যাকাউন্ট ও সদস্য প্রতিষ্ঠানের অসহযোগিতার কারণে ডিএসইতে লেনদেন নিষ্পত্তির সময় কমিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত ওই সব প্রতিষ্ঠান ইটিএফ সুবিধার আওতায় আসায় শেয়ার লেনদেন নিষ্পত্তির সময় চারদিনের পরিবর্তে তিনদিনে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই। এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হলে এ, বি ও এন ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেনের সময়সীমা এক কমে যাবে। তবে ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার এ প্রক্রিয়ার আওতায় পড়বে না।