জাফরপুর ব্রিজ মোড়ে ওত পেতে ধরলেন স্বামীর মোটরসাইকেলের যুবতী : পুলিশে দিলেও শেষ পর্যন্ত ছেড়ে দেয়ায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া

 

স্টাফ রিপোর্টার: ওত পেতে বসেছিলেন স্ত্রী, যেই দেখলেন স্বামীর মোটরসাইকেলের পেছনে সেই যুবতী। অমনি চেপে ধরলেন। চিৎকার দিয়ে চুল ধরে ঘুরাতেই শুরু হলো দু নারীর ধস্তাধস্তি। ঘটনাটি ঘটেছে গতকার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জাফরপুর ব্রিজমোড় পাড়ায়।

স্থানীয়ারা আটক করে জাফরপুর মোড়ে নিয়ে সালিসের প্রস্তুতি নিতেই পড়লো বাধা। শেষ পর্যন্ত যুবতী শিল্পীসহ ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির ম্যানেজার মনিরুজ্জামানকে পুলিশ থানায় নিলেও পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মামলার বাদী না থাকায় থানা থেকে নিজেদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, কুষ্টিয়া দৌলতপুরের মোথাইলপুরের আরমান আলীর ছেলে চুয়াডাঙ্গা বেলগাছির ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির ব্রাঞ্চ ম্যানেজার। এরই ফিল্ড অফিসার জাফরপুর ব্রিজমোড়পাড়ার শিল্পী খাতুন। এই শিল্পী খাতুনকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মনিরুজ্জামানের স্ত্রী সন্দেহ করে আসছেন। গতকাল বিকেলে মোবাইলফোনে মনিরুজ্জামানের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চান। তিনি বলেন, অফিসে ব্যস্ত আছি। স্ত্রী অফিসে গিয়ে না পেয়ে জাফরপুর ব্রিজমোড়ে শিল্পী খাতুনের বাড়ির অদূরে ওত পাতেন। কিছুক্ষণপরই দেখতে পান স্বামী মনিরুজ্জামান মোটরসাইকেলযোগে ফিরছেন। পেছনে শিল্পী। মাথা গরম। মনিরুজ্জামানের স্ত্রী চিৎকার দিয়ে শিল্পীকে ধরে মারধর শুরু করেন। তার স্বামীকেও। তিনি শিল্পীর সাথে অসামাজিক কাজের অভিযোগও উত্থাপন করেন। স্থানীয়রা বিষয়টি শোনার পর জাফরপুর মোড়ে সালিসের প্রস্তুতি নেন। এক পর্যায়ে খবর পেয়ে পুলিশ মোড় থেকে দুজনকে থানায় নিলেও পরে ছেড়ে দেন। ছেড়ে দেয়ার খবর পেয়ে জাফরপুরের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফুটে ওঠে। পুলিশ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্যও করেন তারা।