কাশিমপুর কারাগারে ঐশী

 

 

মাথাভাঙ্গা অনলাইন: পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলার আসামি তাদের মেয়ে ঐশী রহমানকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার বিকেলে তাকে ওই কারাগারে পাঠানো হয়।

গত বৃহস্পতিবার সমাজসেবা অধিদফতরের প্রবেশন কর্মকর্তা ছিদ্দিকুর রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এই আদেশ দিয়েছিলেন।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. মাহাবুবুল ইসলাম জানান, গাজীপুর কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা ঐশী রহমানকে সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। ভালো পরিবেশের জন্য বিকেলে এখান থেকে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি (উত্তর) জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর জানান, আদালতের নির্দেশে ঐশীকে গাজীপুর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হচ্ছে।

পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলার আসামি ঐশী সাবালিকা নাকি নাবালিকা, এই প্রশ্নের ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত আদালতের নির্দেশেই ঐশীকে গাজীপুরের কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। সমাজ সেবা অধিদফতরের প্রবেশন অফিসার সিদ্দিকুর রহমানের আবেদনে বলা হয়, শিশু ছাড়া কোনো আসামি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকতে পারে না। ঐশীর বয়স ১৮ ওপরে। এ কারণে তিনি শিশু নন। খুলনার শিশু ক্লিনিক থেকে ঐশীর জন্মসনদ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ক্লিনিকেই ঐশী জন্মগ্রহণ করেছিলেন। জন্মসনদ অনুযায়ী তার বয়স ১৮ ওপরে। যে কারণে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হোক।

১৪ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চ্যামেলীবাগের বাসায় পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান খুন হন। মাহফুজ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের রাজনৈতিক অধিশাখায় কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী স্বপ্না এবং দুই ছেলে-মেয়ে ও এক শিশু গৃহকর্মী নিয়ে চ্যামেলীবাগের বাসায় থাকতেন তিনি। ঐশী ধানমন্ডির অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ও লেভেলের শিক্ষার্থী।