হাতিয়ায় গণপিটুনিতে ৬ জলদস্যু নিহত

 

মাথাভাঙ্গা অনলাইন: নোয়াখালীর হাতিয়ায় গণপিটুনিতে জলদস্যু আশরাফ বাহিনীর প্রধান আশরাফসহ (৩২) ছয়জন নিহত হয়েছেন। জাহাজমারা ইউনিয়নের হিলটন বাজার রাস্তার মাথা এলাকায় শুক্রবার  ভোররাত ও শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন ইউনুছ (৩৮), আলতাফ (৪০), আশ্রাফ (৩৭), কেপায়েত (২৫), ছারোয়ার (৩৫) ও ওসমান (৪০)। পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তারা নিহত হন। পুলিশ সূত্র এই খবর নিশ্চিত করেছে।

শনিবার সকাল নয়টায় জাহাজমারা সেন্ট্রাল বাজার সংলগ্ন চরকাদিরায় কেফায়েতউল্লা (৩০) নামে এক জলদস্যুকে স্থানীয়রা পিটিয়ে মেরেছে বলে নোয়ালাখলীর পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা রয়েছে বলেও পুলিশ জানায়।

অপরদিকে, দুপুর দুইটার দিকে মোহাম্মদপুর বাজারে ওসমান (৩২) ও সরওয়ার (৩৫) নামে দুই জলদস্যুকে পিটুনি দেয় স্থানীয় জনতা। এতে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান।

নোয়ালাখলীর পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান নতুন বার্তা ডটকমকে জানান, মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত হাতিয়া থানায় পুলিশের সঙ্গে অতিরিক্ত ৬০ জন পুলিশও কমিউনিটি পুলিশ এবং স্থানীয়রা কাজ করছেন। এতে জলদস্যু বাহিনীর প্রধান পুলিশের গুলিতে নিহত এবং ছয়জন গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।

এছাড়া চারজন নারীসহ ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রুজু করা হয়েছে।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উপজেলার জাহাজমারা ইউপির হিলটন বাজার এলাকায় পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আশরাফ পালানোর সময় জনতার পিটুনিতে নিহত হয়।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার থেকে হাতিয়া উপজেলার দুর্গম চরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ দস্যু নির্মূলে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে হাতিয়ার কালাম চরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জলদস্যু ইউনুস বাহিনীর প্রধান ইউনুস নিহত হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ সময় নিহত ইউনুসের স্ত্রীসহ দুজনকে আটক করা হয় এবং একটি কাটা বন্দুক ও ১২ রাউন্ড  কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ।

শুক্রবার বিকেলে সুখচর ও জাহাজ মারায় পুলিশ অভিযান চালালে পালানোর সময় স্থানীয় জনতার পিটুনিতে আলতাফ নামের এক জলদস্যু নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মহিলাসহ ছয় জলদস্যুকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি বন্দুক, ১২ রাউন্ড গুলি ও কার্তুজসহ অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ