অর্থের প্রলোভনে স্কুলবিমুখ শিশুরা

 

কুড়লগাছি প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা-কুড়ুলগাছির বিভিন্ন কল-কারখানা, হোটেল, রেস্তোঁরা, ওয়েলডিং দোকানগুলোতে অবাধে চলছে শিশুশ্রম। ফলে স্কুলবিমুখ হচ্ছে দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা। এসব শিশুদের বয়স ১০ থেকে ১৩ বছর। এই বয়সে তাদের স্কুলে যাওয়ার কথা, অথচ তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করছে। যে বয়সে হাতে থাকার কথা বই, সে বয়সে তারা এখন শ্রমিক। তবে পারিবারিক অভাবের কারণে তারা শ্রমে নিয়োজিত থাকলেও শিশুদের টাকার প্রলোভন দেয়াটাই প্রধান ভূমিকা পালন করছে বলে অনেকে মনে করেন। স্থানীয় অনেকেই বলেছেন, পূর্ণবয়স্ক শ্রমিকের চেয়ে শিশুদের শ্রমিক হিসেবে নিয়োজিত করলে বিপুল পরিমাণে আর্থিক সাশ্রয় হয়। এমনই বাস্তবতার প্রমাণ পাওয়া গেলো উপজেলার বিভিন্ন দোকানে ও কারখানায়। কোমলমতি কিশোর ছেলেরা স্কুল যাওয়া ছেড়ে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে একজন শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। ফলে প্রতিটি শ্রমিকের বিপরীতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। তাই বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় করতে শিশুদের টাকার প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা হয় বলে অনেকেই অভিমত জানান। সবক্ষেত্রে এমন অর্থ সাশ্রয়ের কারণেই টাকার প্রলোভন দিয়ে শিশুদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করানো হচ্ছে। তবে শিশুশ্রম আইনে নিষিদ্ধ থাকার পরও শিশুদের শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরি বলে সচেতন মহল মনে করছেন।