দেশে প্রধমবারের মতো চুয়াডাঙ্গায় যাত্রা শুরু করলো কৃষকের পাঠাগার

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামে ব্যতিক্রমধর্মী এক লাইব্রেরির উদ্বোধন হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো শুধুমাত্র কৃষকের জন্য লাইব্রেরি উদ্বোধন হলো চুয়াডাঙ্গায়। স্থাপিত এই  লাইব্রেরির পাঠক ও সদস্য সবাই কৃষক। প্রাথমিকভাবে এর সদস্য সংখ্যা ৬শ জন। যার অর্ধেক নারী কৃষক। গতকাল শনিবার দুপুরে সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে কৃষক সমাবেশে জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এই লাইব্রেরি (পাঠাগার) উদ্বোধন করেন। এই পাঠাগারে কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন বই, লিফলেট, নিয়মিত কৃষি বিষয়ক পত্রিকা স্থান পেয়েছে। একই স্থানে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সান্ধ্যকালীন কৃষক স্কুলের।

কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার বলেন, সমন্বিত কৃষক উন্নয়ন সংঘ ও পাঠাগার তৈরির যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা প্রশংসার দাবিদার। পাঠাগার উন্নয়নে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ এখন বাস্তবায়ন করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ২০২১ সাল নয় ২০১৯ সালের মধ্যে স্বীকৃতি লাভ করবে। উন্নয়ন শুধু কৃষি সেক্টর নয়, সব সেক্টরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনা। দেশে কেউ নিরক্ষর থাকবেনা। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নের জায়গা করে নিতে হবে। এলাকাবাসীর দাবি রাস্তা তৈরি, সেই প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে গেছে। আগামী শীতে রাস্তার উন্নয়নের কাজ শুরু হবে।

সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাসের সভাপতিত্বে কৃষক সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক চন্ডিদাস কুণ্ডু, উপপরিচালক নির্মল কুমার দে ও শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, সম্বন্বিত কৃষক উন্নয়ন সংঘ ও পাঠাগারের ভাবনা সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে। প্রতিটি কৃষি ব্লকে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা হবে। কৃষকরা যাতে ফসলের ন্যায্যমূল্যে পায় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। কৃষি যন্ত্রপাতি ভর্তুকির মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে। খুচরা যন্ত্রাংশ কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। সারের দাম কমানো হয়েছে। কৃষকরা গুণগত মান সম্পন্ন বীজ নিজেরা উৎপাদন করে সংরক্ষণ করতে পারে সেজন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভুট্টা দেশের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলাতে উৎপাদনে সর্বোচ্চ শীর্ষে রয়েছে। নারীরা কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। তাদেরকে সকল প্রকার সহযোগিতা দিয়ে কৃষিতে অবদান রাখতে সাহ্যয্য করতে হবে। কৃষকরা সংগঠিত নয়। এই কাজটি যখন হবে তখন কেউ ঠকাতে পারবে না। ব্যক্তির কারণে সংগঠন নষ্ট হতে দেয়া যাবে না।

বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুর, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহীন রাব্বী, সমন্বিত কৃষক উন্নয়ন সংঘের সভাপতি আব্দুল কাদের ও সাধারণ সম্পাদক আহ্সানুল কবীর বশির। কৃষক সমাবেশের পর তালগাছ ও খেজুরের গাছের চারা রোপণ করেন অতিথিরা।

Leave a comment