চুয়াডাঙ্গার ৩৮টি ইউনিয়নে ৩০ হাজার ৮৫৭ পরিবার ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার: চলতি মাস থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে হতদরিদ্রদের জন্য সরকার নির্ধারিত মূল্যে কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যশস্য বিতরণ কর্মসূচিতে চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৩০ হাজার ৮৫৭টি পরিবারকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। জেলার ৩৮টি ইউনিয়নে ৭৬ জন ডিলারের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে প্রতিটি পরিবার মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবে। এতে প্রতিকেজি চালে সরকারকে ২৩ টাকা ৫০ পয়সা করে ভুর্তকি গুণতে হবে। সরকারি হিসেবে প্রতিকেজি চালের মূল্য ৩২ টাকা। তবে এ কর্মসূচির বাইরে রয়েছে চার পৌরসভার হতদরিদ্ররা। এ সুবিধা পাচ্ছেন না তারা।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে, সরকারি হিসেবে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় দারিদ্রের হার ১২ শতাংশ। সদরের ৭টি ইউনিয়নে ৬ হাজার ৯৬৬ জন হতদরিদ্রকে ১৪ জন ডিলারের মাধ্যমে চাল বিতরণ করা হবে। আলমডাঙ্গা উপজেলায় দারিদ্রের হার ১১ শতাংশ। উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ৫ হাজার ২৪৫ জনকে ৩০ জন ডিলারের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত দরিদ্রদের মাঝে চাল বিতরণ করা হবে। জীবননগর উপজেলায় দারিদ্রের হার ১৪ শতাংশ। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১৬ জন ডিলারের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪১১ টি পরিবারকে চাল দেয়া হবে। সবচেয়ে বেশি দারিদ্রের হার দামুড়হুদা উপজেলায়। এ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১৬ জন ডিলারের মাধ্যমে ১৫ হাজার ২৩৫টি পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ করা হবে।

এ কর্মসূচিতে বছরে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর, মার্চ ও এপ্রিল এই পাঁচ মাস ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন তালিকাভুক্ত হতদরিদ্ররা। ভোক্তারা ১০ টাকা দরে চাল পেলেও সরকার সাড়ে ৮ টাকা কেজিতে ডিলারদের চাল দেবে। এর মধ্যে ১ টাকা ৫০ পয়সা ডিলারের পরিবহন খরচ ও মুনাফা ধরা হয়েছে।

উপজেলা পর্যায়ে এ প্রকল্পে স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রধান উপদেষ্টা, উপজেলা চেয়ারম্যান উপদেষ্টা, সভাপতি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদস্য সচিব হিসেবে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক/খাদ্য পরিদর্শকসহ ৯ সদস্যের তালিকা যাচাই কমিটি রয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে উপজেলা পর্যায়ের একজন বিভাগীয় কর্মকর্তা সভাপতি এবং ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে সদস্য সচিব করে কামটি গঠন করা হয়েছে।

সুবিধাভোগী পরিবারের যোগ্যতা ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা, হতদরিদ্র পরিবার প্রধান, জাতীয় পরিচয়পত্রের অধিকারী, নারী প্রধান পরিবার অগ্রাধিকার পাবে, যে সব দুস্থ পরিবারে শিশু রয়েছে, সেসব পরিবারও অগ্রাধিকার পাবে। একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে কোনোক্রমেই তালিকাভুক্ত করা যাবে না। সরকারি নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতাভুক্ত ভিজিডি কর্মসূচির সুবিধাপ্রাপ্তরা এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে না।

প্রতি ৫০০ পরিবারের জন্য একজন ডিলার নিয়োগ পাবে। ইউনিয়নের সবচেয়ে বড়হাটে বা বাজারে নির্ধারিত দোকান থাকতে হবে। ডিলারের দোকানে একসাথে কমপক্ষে ১৫ মেট্রিক টন খাদ্য সামগ্রী সংরক্ষণের সুব্যবস্থা থাকতে হবে। কোনো সরকারি কর্মচারী কিংবা জনপ্রতিনিধি ডিলার হতে পারবেন না।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুল ওয়াহেদ জানান, তালিকাভুক্ত হতদরিদ্রের নামে কার্ডের তালিকায় নাম উত্তোলন করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ২১ হাজার নামের কার্ডের তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। তবে কবে থেকে জেলায় চাল বিতরণ শুরু হবে তা শিগগিরই জানিয়ে দেয়া হবে।

Leave a comment