গাংনী প্রতিনিধি: বাল্যবিয়ে পড়ানোর চেষ্টার অপরাধে আব্দুল কাইয়ুম (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে তিন দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ৪টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম জামাল আহম্মেদ ওই দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডিত কাইয়ুম হোসেন গাংনী উপজেলার পীরতলা জামে মসজিদের ইমাম ও ওই গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, পীরতলা গ্রামের কৃষক সাহাবুল ইসলামের মেয়ে স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সেতু খাতুনের সাথে পাশ্ববর্তী কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলীর ছেলে নাজমুল ইসলামের বিয়ে ঠিক হয়। গত রোববার বিকেলে বরসহ তার ঘনিষ্ট কয়েকজন আত্মীয় অনেকটাই গোপনে কনের বাড়িতে যায়। বিয়ে পড়ানোর আগ মুহূর্তে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা ভেস্তে যায়। বিয়ে পড়ানোর জন্য সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন ইমাম কাইয়ুম।
বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। বিয়ে পরিচালনার দায়ে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন ১৯২৯’র ৬ ধারায় ইমাম কাইয়ুমকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে কাইয়ুমে জেলা কারাগারে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় পুলিশ। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জীবনে আর কোনোদিন বাল্যবিয়ে পড়াবেন না অঙ্গীকার করে সব ইমাম ও হুজুরদেরকে আইন মানার অনুরোধ করেন ইমাম কাইয়ুম।