স্টাফ রিপোর্টার: বিজ্ঞানের এই অগ্রগতির যুগেও কুসংস্কার আর অন্ধবিশ্বাসের কারণে বলি হতে হল এক ব্যক্তিকে। সাপের কামড়ের পর মৃত বলেই ধরে নেয়া হয়েছিলো ভারতের মধ্য প্রদেশের রাইসেন জেলার বাসিন্দা সন্দীপকে। সঠিক সময় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে পারলে তাকে হয়তো বাঁচানো যেত। কিন্তু সেই এলাকার লোকজনের আজও বিজ্ঞানের থেকে কুসংস্কারেই বিশ্বাস বেশি। আর তাই একবার নয়, সন্দীপকে বাঁচানোর দুবার সুযোগ পেয়েও তাকে বাঁচাতে পারল না পরিবার। পরিবারের চোখে কুসংস্কারের ঠুলি ছিলো বলেই মাত্র ২৩ বছরেই এ জগত ছাড়তে হল তাকে৷ জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে গিয়েছিলেন সন্দীপ। সেখানেই এক বিষাক্ত সাপ ছোবল দেয় তাকে। জঙ্গল থেকে ফিরলে তাকে স্থানীয় নামকরা তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যায় তার পরিবার। বেশ খানিকক্ষণ ঝাড়ফুঁক করার পর তান্ত্রিক জানিয়ে দেন, সন্দীপকে বাঁচানো সম্ভব হলো না। সন্দীপের মৃতদেহ সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ঘটে আরেক ঘটনা। যা দেখে গ্রামবাসীদের চক্ষু চড়কগাছ!
চিতায় শোয়ানো রয়েছে সন্দীপের মৃতদেহ। তাতে আগুন দিতেই চিৎকার করে উঠে বসলেন ‘মৃত’ সন্দীপ। কেউ ভয়ে শিউরে উঠলেন। তো কেউ আবার শ্মশান ছেড়ে দৌঁড়ে পালালেন। তবে সন্দীপের পরিবার বুঝতে পারে তার মধ্যে এখনও প্রাণ রয়েছে। কিন্তু এবারও চিকিৎসকের দ্বারস্থ হলেন না তারা। সাথে সাথে চিতা থেকে নামিয়ে সন্দীপকে ফের সেই তান্ত্রিকের কাছেই নিয়ে যাওয়া হলো। তান্ত্রিক এবারও তাকে বাঁচাতে পারেননি৷ ফলত তাকে বাঁচানোর দ্বিতীয় সুযোগও নষ্ট করলো পরিবার। অবশেষে পুলিশ এসে সন্দীপের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। তারপর তার সৎকার করা হয়।