নিখোঁজ থাকলেই যেমন জঙ্গি নয়, তেমনই ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে ধর্মের অপব্যাখ্যা প্রচারকারী ও তাতে প্রভাবিত কাউকে কোনোভাবে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। শুধু মধ্যপ্রাচ্য বা বাংলাদেশ নয়, বিশ্বজুড়েই সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদ নামক বিষবাষ্প ভয়াবহ আকারে ছড়িয়েছে, ছড়াচ্ছে। কার সন্তান, কোথায় কার সাথে কীভাবে যোগাযোগ স্থাপন করে বেহেস্ত পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে তা বলা কঠিন। ফলে সকল অভিভাবককেই যেমন সন্তানের প্রতি সজাগ তথা বাড়তি দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হওয়ার পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা দরকার। একইসাথে একজন নিখোঁজ মানেই তাকে জঙ্গি ধরে নিয়ে তার ছবি, নামধাম ছেপে প্রচার করাটা অন্যায়। এরকমই অন্যায়ের অভিযোগ উত্থাপন হয়েছে যশোরে। খেলা দেখা নিয়ে এক কলেজছাত্র তার মায়ের ওপর অভিমান করে দু বছর নিরুদ্দেশ। সে ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে জীবনজীবিকা চালিয়ে আসছিলো। যেখানে চাকরি করছিলো সেখানেই এক যুবতীর সাথে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যে সম্পর্ক বিয়ের দিকে গড়ায়। অভিভাবকছাড়া কন্যাপক্ষ বিয়েতে যখন গররাজি, তখন ওই ছেলে তার পিতা-মাতার সাথে যোগাযোগ করে। ঠিক ওই সময়ই যশোরে ওই ছেলেকে সন্দেহভাজনক জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করে তার ছবিসহ নামধাম কাগজে ছেপে প্রচার চালানো হচ্ছে। এ ঘটনার মধ্যদিয়ে পুলিশের তথ্য অনুসন্ধানে পরিপক্কতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। যে প্রশ্ন পুলিশের ভাবমূর্তিতে কালির আছড়। জাতির জন্য ক্ষতিকর। ফলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের এ বিষয়ে আরো অনেক বেশি সতর্ক হওয়া জরুরি।