কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রে পুলিশি হয়রানির অভিযোগে ভুক্তভোগী এক পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের থানামোড়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভিকটিম আব্দুর রশিদ মণ্ডলের স্ত্রী ছাহেরা খাতুন ও ছোট বোন আলেয়া খাতুন।
তারা বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চলমান দ্বন্দে প্রতিবেশী মৃত. তাহাজুদ্দিনের ছেলে আবুল বাশার অসৎ উদ্দেশে দৌলতপুর থানা পুলিশের সাথে যোগসাজসে গত ১৯ জুলাই রাত্রী অনুমানিক আড়াই টার দিকে আমার স্বামী আব্দুর রশিদ মণ্ডল (৪৮) নিজ ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় ৪ জন পুলিশসহ জোরপূর্বক ঘরে প্রবেশ করে। তারপর সেই ঘরের একটি ব্যাগের মধ্যে কিছু একটা রেখে বাইরে বের হয়ে আসেন এর এক মিনিট পরেই আবার ঘরে প্রবেশ করেন দৌলতপুর থানার এসআই শাহাদৎ হোসেনের নেতৃত্বে আরও ৪ জন পুলিশ। এ সময় তারা পূর্বে রেখে যাওয়া ওই ব্যাগটি খুলে তার ভেতর থেকে একটি অস্ত্র বের করেন এবং অস্ত্র রাখার দায়ে স্বামী আব্দুর রশিদ মণ্ডলকে হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
এ জাতীয় উদ্দেশ্য প্রণোদিত ষড়যন্ত্রমূলক পুলিশি হয়রনির তীব্র প্রতিবাদসহ অবিলম্বে ন্যায় বিচার চেয়ে আব্দুর রশিদ মণ্ডলে মুক্তি প্রার্থনা করেন। এ বিষয়ে কথা বলেন ভেড়ামারা-মিরপুর-দৌলতপুর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা সহকারী পুলিশ সুপার কামরুল হাসান। তিনি বলেন, পুলিশের দায়িত্ব সঠিক তথ্য উদঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। দৌলতপুর থানার কোনো পুলিশের কর্মকাণ্ডে যদি কিছু বিচ্যুতির ঘটনা ঘটে থাকে সেটাও তদন্ত করে দেখা হবে।