মনজুর আলম: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের আসমা খুতুন (২০) নামের এক যুবতীকে আব্দুর রহিম (২৪) এবং আজাদ হোসনে (২৫) নামের দুই যুবক স্ত্রী বলে দাবি তুলেছে। দিনভর নানা ঘটনায় আজাদ হোসনে নামের যুবক স্ত্রীকে পেতে কীটনাশক বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। আহত যুবকে গ্রামবাসী উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৮ জুলাই মঙ্গলবার। এক যুবতি আর দুই যুবকের স্ত্রীর দাবির এই ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত যুবতী ও তার পরিবারের লোকজন লোকলজ্জার ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে।
গ্রামবাসী জানায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের মালদ্বীপ প্রবাসী রবিউল ইসলামের মেয়ে আসমা খাতুন বছর তিনেক আগে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুরের আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুর রহিমকে ভালোবেসে বিয়ে করে। আসমা বিবাহিত এই কথা গোপন রেখে মাগুরা ইছাখাদা গ্রামের ইমদাদ হোসেনের ছেলে আজাদ হোসেনের সাথে মোবাইলফোনে প্রেম করতে থাকে। এক পর্যায়ে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে আসমা খাতুন এবং আজাদ হোসেন অজানার উদ্দেশে পালিয়ে যায়। তারা দুজন বিয়ে করে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে ঢাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে পোশাক কারখানায় কাজ করতে থাকে। এরই মধ্যে আসমা খাতুন আজাদ হোসেনকে বাড়িতে এনে দুজনা বিয়ে করেছে বলে জানায়। গ্রামের লোকজনও আজদ হোসেনকে গ্রামের মালদ্বীপ প্রবাসী রবিউল ইসলামের জামাই বলেই জানতো। পোশাক কারখানায় চাকরি করার সুবাধে আসমা খাতুন এবং আজাদ হোসেনের সাথে প্রায়ই মনোমালিন্য হতো। এরই মধ্যে আসমা খাতুন পূর্বের স্বামী আব্দুর রহিমের সাথে যোগাযাগে করতে থাকে। একপর্যায়ে ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি কাশিমপুর গ্রামে ফিরে আসে আসমা খাতুন। গত ১৮ জুলাই আব্দুর রহিম তার শ্বশুরবাড়ি কাশিমপুর গ্রামে বেড়াতে আসে। এরই মাঝে মাগুরা ইছাখাদা গ্রামের আজাদ হোসেনও এসে পৌছে কাশিমপুর গ্রামে। এর পরই বেরিয়ে আসে আসমা খাতুনের দুই যুবকের সাথে বিয়ের বিষয়টি। এমন ঘটনা জানতে পেরে এলাকার শ শ নারী-পুরুষ আসমা খাতুনের বাড়িতে ভিড় জমতে থাকে। এক পর্যায়ে আজাদ হোসেন আসমা খাতুনকে স্ত্রীর দাবিতে কীটনাশক বিষপান করে। গ্রামবাসী আজাদ হোসেন উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। ঘটনাটি এলাকায় চরম তোলপাড় সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে লোকলজ্জার ভয়ে আসমা খাতুন ও তার পরিবারের লোকজন গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার রিপন হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দুই যুবকই স্ত্রী বলে দাবি করেছে। এভাবে থাকতে পারে না। তাই মেয়ের অবিভাবকে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য ডেকেছি। হয়তো লোকলজ্জার ভয়ে তারা এখনও দেখা করেনি।