লর্ডস টেস্টে চালকের আসনে পাকিস্তান

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: বোলিঙের পর ব্যাট হাতেও ইংলিশদের ভোগালেন ইয়াসির শাহ। সরফরাজ আহমেদের সাথে তার শেষ বিকেলের জুটিতে লিড অনেকটা বাড়িয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। আর এতে করে লর্ডস টেস্টে চালকের আসনে বসে গেছে পাকিস্তান। অসাধারণ বোলিঙে ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন ক্রিস ওকস। লর্ডস টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে পাকিস্তানের রান ৮ উইকেটে ২১৪। প্রথম ইনিংসে ৬৭ রানের লিড মিলিয়ে সফরকারী দল এগিয়ে ২৮১ রানে। লর্ডসে এর চেয়ে বড় রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে একটিই। ১৯৮৪ সালে গর্ডন গ্রিনিজের অসাধারণ ডাবল সেঞ্চুরিতে ৩৪২ রান তাড়ায় ৯ উইকেটে জিতেছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

প্রথম দিনে দু দিনে ব্যাট-বলের লড়াই ছিলো জমজমাট। কিন্তু শনিবার তৃতীয় দিনটি ছিলো বোলারদের। সকালে ইংল্যান্ড শেষ ৩ উইকেট হারায় মাত্র ৮ ওভারেই। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তানও। ১১ বলে রানের খাতা খুলতে না পেরে হাফিজ ক্যাচ দেন স্লিপে। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট পাওয়া ওকসকে বিস্ময়করভাবে চতুর্থ বোলার হিসেবে আক্রমণে আনেন অ্যালেস্টার কুক। ততক্ষণে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টায় শান মাসুদ ও আজহার আলী। বল হাতে পেয়ে ওকস নিজেকে জানান দেন দ্রুতই। থিতু হওয়া মাসুদ ও আজহারকে ফেরান এ পেসার। প্রথম ইনিংসে একদমই বিবর্ণ মইন আলী এবার নিয়েছেন মিডল অর্ডারের সবচেয়ে বড় দু উইকেট। আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মিসবাহ-উল-হক দ্বিতীয় বলেই মেরেছিলেন উড়িয়ে, ডিপ মিড উইকেটে দারুণ ক্যাচ নেন অ্যালেক্স হেলস। লম্বা সময় উইকেটে থেকেও ছন্দ না পাওয়া ইউনুসও শিকার মঈনের। পাকিস্তানের তখন ৫ উইকেট নেই ১২৯ রানে। লিড স্পর্শ করেনি দুশো। সেখান থেকেই শফিক-সরফরাজদের লড়াই। আগের ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও দারুণ খেলছিলেন শফিক। ১ রানের জন্য তাকে ম্যাচে দ্বিতীয় অর্ধশতক পেতে দেননি ওকস। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যেটি ছিল তার ৪০০তম উইকেট। ইয়াসিরকে নিয়ে এরপর দলের রান বাড়ান সরফরাজ। ৪৫ রান করা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ওকস পূর্ণ করেছেন ম্যাচে ১০ উইকেট। পরে তিনি নেন ওয়াহাব রিয়াজের উইকেটও। দিন শেষে ওকসের ম্যাচ ফিগার ১০১ রানে ১১ উইকেট। গত ৪২ বছরে লর্ডসে ইংলিশ বোলারের সেরা বোলিং। ১৯৭৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষ ৭১ রানে ১৩ উইকেট নিয়েছিলেন ডেরেক আন্ডারউড। ওকসের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও ইংল্যান্ডের অস্বস্তি হয়ে টিকে রয়েছেন ইয়াসির শাহ। ক্যারিয়ার সেরা ৩০ রানে অপরাজিত তিনি।