দর্শনা অফিস/দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার নাস্তিপুর গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে পর স্ত্রী নিয়ে রঙ্গলীলা করার সময় আজাদ (৪৫) এবং শহরবানুকে (৪৫) আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বেরসিক জনতা। বেরসিক জনতার হাতে আটক দু সন্তানের জনক আজাদ চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের হাটকালুগঞ্জ গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে এবং তিন সন্তানের মা শহরবানু কোটচাঁদপুরের সাবদালপুর গ্রামের আব্বাস আলীর স্ত্রী।
পুলিশ আটক আজাদ, শহরবানু এবং আশ্রয়দাতা নাস্তিপুরের মফিজুলের স্ত্রী শুকুরণ নেছাকে (৪৫) ভ্রাম্যমাণ আদালতে নিয়ে হাজির করলে তাদের তিনজনকেই ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। গতকাল রোববার বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের হাটকালুগঞ্জ গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে আজাদ তার পূর্ব পরিচিত কোটচাঁদপুরের সাবদালপুর গ্রামের আব্বাস আলীর স্ত্রী শহরবানুকে গতকাল সকালে মোবাইলফোনে নাস্তিপুর গ্রামে আসতে বলে। সকাল ৯টার দিকে তারা উভয়ই নাস্তিপুর গ্রামের মফিজুলের বাড়িতে যায় এবং মফিজুলের স্ত্রী শুকুরণ নেছার সহযোগিতায় ঘরের মধ্যে রঙ্গলীলায় মত্ত হয়।
এলাকার বেরসিক জনতা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। পরে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই আব্দুল গফুর ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই দু কপোতকপোতি এবং আশ্রয়দাতা মফিজুলের স্ত্রীকে আটক করে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে হাজির করেন। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২৯৪ ধারায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তিনজনকেই ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। আজাদ ও শহরবানু ইতোপূর্বেও বেশ কয়েকবার নাস্তিপুরের ওই বাড়িতে গিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়েছে এলাকাসূত্রে জানা গেছে।