আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান : আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কে ডাকাতির ঘটনায় আটক ২

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কে ডাকাতির অভিযোগে আটক কালিদাসপুরের বাদল রশিদ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তার স্বীকারোক্তিতে পুলিশ একই গ্রামের শাহাবুল নামের আরও এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। এদের স্বীকারোক্তির তথ্য নিয়ে আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কে লাগাতার ডাকাতির আদ্যপান্ত এখন পুলিশের নখদর্পণে।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কে ডাকাতির ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিকের ঘটনায় পরিণত হয়ে পড়ে। হাফপ্যান্ট বাহিনীর দাপটে রাতে চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রী সাধারণ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। গত ২৯ মে রাতে ৩-৪টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় ডাকাতরা। তারা কুপিয়ে জখম করে কয়েকটি ট্রাকের গরুব্যবসায়ীর নিকট থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। গত ৯ জুলাই ডাকাতরা একই জায়গায় গাছ ফেলে কয়েকটি পিকাপ ভ্যান, মাইক্রোবাস ও ট্রাক আটকে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে ডাকাতি করে। থানা পুলিশ কিছুতেই এ হাফপ্যান্ট বাহিনীর অপতৎপরতা রুখতে পারছিলো না। এরই মাঝে অফিসার ইনচার্জ হিসেবে সম্প্রতি আলমডাঙ্গা থানায় যোগদান করেন আকরাম হোসেন। তারপর থেকে রোড ডাকাতির সাথে জড়িতদের আটক করতে পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধি পায়। এরই এক পর্যায়ে গোপনসূত্রে ডাকাতির ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা জানতে পেরে এসআই জিয়াউর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে গত শুক্রবার রাতে কালিদাসপুরের হাফিজুর রহমানের ছেলে বাদল রশিদকে (৩০) আটক করেন। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বাদল রশিদ ডাকাতির সাথে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। বাদলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ একই গ্রামের মৃত শফির ছেলে শাহাবুল ইসলামকে (৩২) আটক করে। পরে তারা দুজনেই ডাকাতির সাথে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে। ২৯ মে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় বাদল রশিদ ৩ হাজার টাকা ভাগ পেয়েছে বলে পুলিশের কাছে জানিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, রোড ডাকাতির সাথে সংশ্লিষ্ট হাফপ্যান্ট বাহিনীর ৪-৫ জন এই এলাকার। বাকিরা কুষ্টিয়ার। গতকাল শনিবার আটক বাদল রশিদ সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে পুলিশ জানায়। আটক আরেক ডাকাত সদস্য শাহাবুলকে আজ রোববার আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে।

Leave a comment