স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার পল্লিতে বাড়ি-ঘর-দোকান পোড়ানো মামলায় কালীগঞ্জ সহকারী শিক্ষা অফিসার (প্রাথমিক) তুষার আহম্মেদসহ ২৬ জনকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এরা চুয়াডাঙ্গার আমলি (আলমডাঙ্গা অঞ্চল) আদালতে দুটি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। একটি মামলায় জামিন মঞ্জুর করলেও অপর মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে সকলকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের তিয়রবিলা গ্রামের ক্লিনিক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম নজুকে গত ৬ জুন বেলা আড়াইটার দিকে তাড়িয়ে ধরে কুপিয়ে ও গুলি করে খুন করা হয়। এ ঘটনার পর ওই দিনই বিকেলে তিয়রবিলা ও হাকিমপুরের ১০টি বাড়িসহ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে। নজরুল ইসলাম নজু খুনের বিষয়ে তার চাচা বাদী হয়ে খুন মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে আগুন দিয়ে ঘরবাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ৬টি মামলা রুজু করা হয়। খাসকররা ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রুন্নু, ভাই ফিরোজ আহম্মেদ লাটিম, ভাতিজা তুষার আহম্মেদসহ তাদের পক্ষের লোকজনকে আসামি করা হয়। তিয়রবিলা গ্রামের ছাইন উদ্দীনের স্ত্রী ছারে খাতুনের দায়ের করা মামলায় চেয়ারম্যান মোস্তফিজুর রহমান রুন্নুসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান রুন্নু ও তার ভাই ফিরোজ অহম্মেদ লাটিম মিয়াসহ ৬ জন বাদে বাকি ২৬ জন গতকাল সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। জামিনের আবেদন জানান। এ মামলায় বিজ্ঞ আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে সকলকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। তবে আলী হোসেনের দায়ের করা মামলার ২০ জন আসামি আত্মসর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। তবে এ মামলায় জামিন পেলেও অপর মামলায় জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় তাদেরকে জেলহাজতে নেয়া হয়।
ছারে খাতুনের দায়ের করা মামলায় যাদেরকে গতকাল জেলহাজতে যেতে হয়েছে তাদের মধ্যে তুষার আহম্মেদ কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার। তিনি খাসকররা ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রুন্নুর ভাই ফিরোজ আহম্মেদে লাটিম মিয়ার ছেলে। এছাড়া জেলহাজতে গেছেন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের আমিরুল ইসলাম। তিনি আজগার আলীর ছেলে। পারলক্ষ্মীপুর গ্রামের মেডুল কামারের ছেলে আবুজার, হাকিমপুরের ফকির চানের ছেলে ওহাব আলী, তিয়রবিলার আইনুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে শহিদুল ইসলাম, একই গ্রামের ইবারত আলীর ছেলে ইউপি সদস্য আলম, মফুজ আলীর ছেলে নোয়াজ্জেল, হাকিমপুরের সৈয়রুদ্দিনের ছেলে রিপন, একই গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে বাবু খোড়া, তোরাপ মণ্ডলের ছেলে শহিদুল ইসলাম, পারলক্ষীপুরের আয়ুব হোসেনের ছেলে টুকু, তিয়রবিলার আব্দুল বারী লস্করের ছেলের সেকেন্দার আলী, আয়ুব আলীর ছেলে অমেদ আলী, মহত আলীর ছেলে শাজাহান আলী, আয়ুব আলীর ছেলে গোলাপ আলী, হাকিমপুরের কালু মণ্ডলের ছেলে নজরুল ইসলাম, ইজাজ বিশ্বাসের ছেলে আলিম, হাসেম আলীর ছেলে আল আমিন, তিওয়ারবিলার জমাত আলীর ছেলে কুতুব আলী, তছের আলীর ছেলে মনি, খাসকররার আবু শ্যামার ছেলে লিমন, লতিফ শেখের ছেলে হামিদুল, ইদ্রীস আলীর ছেলে লালন, তিয়রবিলার আবু তাহেরের ছেলে আলমগীর, লুৎফর রহমানের ছেলে সেলিম ও আকবর মোল্লার ছেলে শহিদুল ইসলাম।