খালেদা জিয়ার ঐক্যের আহ্বান প্রত্যাখ্যান আ.লীগের

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দল-মত নির্বিশেষে সন্ত্রাসবিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলেন তা প্রত্যাখান করেছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীন দলটি বলেছে, যিনি জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড লালন ও পৃষ্ঠপোষকতা করছেন- তার সাথে কীভাবে জাতীয় ঐক্য সম্ভব? তিনি যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ত্যাগ ও অতীত ভুলের জন্য অনুশোচনার বহিঃপ্রকাশ ঘটালেই কেবল তার সাথে ঐক্য সম্ভব। গতকাল রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এ কথা বলেন। একই দিন সংবাদ সম্মেলনে দেয়া খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

হানিফ বলেন, অবশ্যই জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন আছে। এটি আমরাও মনে করি। কিন্তু জাতীয় ঐক্য হবে কার সাথে? যিনি জঙ্গি লালন করছেন, জঙ্গি পৃষ্ঠপোষকতা করছেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পৃষ্ঠপোষকতা করছেন তার সাথে? তার সাথে কীভাবে জাতীয় ঐক্য সম্ভব? তিনি বলেন, তিনি আগে যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ত্যাগ করুন। অতীত ভুলের জন্য অনুশোচনার বহিঃপ্রকাশ ঘটান। তারপর তার সাথে জনগণের ঐক্য হতে পারে। আমাদেরও ঐক্য হতে পারে। কেননা জাতীয় ঐক্য আমরাও চাই।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, দেশে সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের উৎস হচ্ছেন খালেদা জিয়া। আমরা তার সময় বাংলা ভাই ও একই দিনে একই সাথে ৬৩ জেলার পাঁচশত জায়গায় বোমা হামলার মধ্যদিয়ে জঙ্গি সন্ত্রাসীর উত্থান এবং একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা দেখেছি। এসএম কিবরিয়া ও আহসানউল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হয়েছিলো তার সময়ই।

হানিফ বলেন, খালেদা জিয়ার এই আহ্বান সবার কাছেই অবাক করার বিষয় হয়েছে। হ্যাঁ, কথাগুলো তার অন্তরের কথা হলে তিনি অতীত উপলব্ধি নিয়ে আগামীর পথচলা শুরু করবেন। খালেদা জিয়া অতীত কর্মকাণ্ডে অনুতপ্তে হয়ে কথাগুলো বলে থাকলে জাতি আশাবাদী হবে। তবে যুদ্ধাপরাধী জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের সঙ্গ ত্যাগ না করে এমন সুন্দর সুন্দর কথার মালা দিয়ে আবারও জাতির সাথে প্রতারণা করছেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার কথার মধ্যে অনেক বিভ্রান্ত্রি রয়েছে। তিনি কখন কি বলেন ঠিক নেই, তার কথা পরস্পরবিরোধী।

সংবাদ সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ফরিদুন্নাহার লাইলী, আফজাল হোসেন, বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, আবদুস সাত্তার, আবদুস সোবহান গোলাপ, সুজিত রায় নন্দী, এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।

Leave a comment