মেহেরপুর অফিস: অপহরণের প্রায় ৭ ঘণ্টা পর মেহেরপুর সদর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার ওরফে সার্থক মালিথার ছেলে অপহৃত ভূষিমাল ব্যবসায়ী ইউনুস আলীকে (৪৫) মুক্তিপণের বিনিময়ে উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাত ৩টার দিকে তার বাড়ির সংলগ্ন মাঠ থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ ও স্থানীয় জনতা। মারাত্মক আহত অবস্থায় ওই রাতেই তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইউনুস আলী জানান, বেশ কিছুদিন ধরে সন্ত্রাসিরা চাঁদার দাবিতে তাকে মোবাইলফোনে হুমকি দিয়ে আসছিলো। পরে তিনি তার সিমটি বন্ধ করে আর নতুন একটি সিম ব্যবহার শুরু করেন। শুক্রবার তার চাচাতো ভাই ফরজ আলীর বাড়ি ইফতারি শেষে গ্রামের মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করে গ্রামের বাজারে বসে একটি চা খান। রাত ৮টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চোখ বেঁধে বাড়ির পাশ্ববর্তী মাঠে নিয়ে যায় ৭/৮ জনের একদল অস্ত্রধারী। কয়েক মিনিট পর একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় সন্ত্রাসিরা এবং মুঠোফনে তার পরিবারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ঘটনাটি মেহেরপুর সদর থানাকে অবহিত করেন তার পরিবার। পরে পুলিশের একটি দল ও স্থানীয় জনতা ওই মাঠে অবস্থান নেয়। রাত ৩টার দিকে পরিবারের লোকজন তিন লাখ টাকা সন্ত্রাসিদের হাতে তুলে দিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। ইউনুসের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ওই রাতেই মেহেরপুরে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। চোখ বেঁধে সন্ত্রাসীরা তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বলে তিনি জানান।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার চৌধুরি জানান, ঘটনার পর থেকে সদর থানা পুলিশের একটি দল ও চুয়াডাঙ্গা জেলার দামড়হুদা থানা পুলিশের একটি দল ওই মাঠে অবস্থান নেয়। পরে রাত ৩টার দিকে স্থানীয় জনতার সহায়তায় পুলিশের একটি দল ইউনুসকে উদ্ধার করে। তবে তার পরিবারের সাথে সন্ত্রাসিদের কোনো টাকা-পয়সা লেনদেন হয়েছে কি-না তা জানা নেয় তার।