মাথাভাঙ্গা অনলাইন ঃ
ভোলার মনপুরা উপজেলার উত্তর ঢাল চরে পুলিশের সাথে জলদস্যুদের বন্দুক যুদ্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ জলদস্যু নিহত হয়েছে।তবে জলদস্যুরা নিহত সহযোগীদের মৃতদেহ কাঁধে করে নিয়ে গেছে।পুলিশ জলদস্যুদের ব্যবহৃত একটি ট্রলারসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। রবিবার ভোর রাতে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ পেয়ে ভোরে পুলিশ সুপার মোঃ মনিরুজ্জামোনের নেতৃত্বে তজুমদ্দিন ও মনপুরা থানা পুলিশ মনপুরার ঢাল চরে জলদস্যুদের ধরতে অভিযানে চালায়।পুলিশ জানায়, শনিবার দিবাগত রাত আড়াই টায় লালমোহন থানার এস আই এবি নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল লালমোহন মেঘনার ৪ নং চরে টহল দিতে গেলে জলদস্যুরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিলে জলদস্যুরা পিছু হটে। পুলিশ তাদের পিছু নিলে মনপুরার উত্তর ঢাল চর এলাকায় উভয় পক্ষে বন্দুক যুদ্ধ হয়। প্রায় এক ঘন্টা ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধ চলে। এ সময় পুলিশ ৪২ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। খবর পেয়ে আশপাশের থানা ছাড়াও জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
ঘটনাস্থল থেকে লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) গাজী সাহিদুর রহমান জানান, জলদস্যুরা তাড়া খেয়ে জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ ৪ জলদস্যুকে কাঁধে করে নিতে দেখা যায়। জলদস্যুদের ধরতে ভোর থেকে এসপির নেৃতত্বে অভিযান চলে বলে ওসি জানান।হতাহতরা মেঘনার দুর্ধর্ষ জলদস্যু কালাম বাহিনীর সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান জানান, অভিযান প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি বলেন চরে কাদা ও দুর্গম এলাকা হওয়ায় অভিযানে বেগ পেতে হয়েছে। হতাহতের বিষয়ে তিনি বলেন, রাতের অন্ধকারে জলদস্যুরা তাদের গুলিবিদ্ধ সহযোগীদের নিয়ে যাওয়ায় হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে তিন চারজন নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া কয়েক ঘণ্টার অভিযানে নতুন কোনো তথ্য নেই বলেও তিনি জানান