আলমডাঙ্গায় ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ : উপজেলা যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়কসহ দুই নেতার বাড়ি ভাঙচুর

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে আলমডাঙ্গায় যুবলীগের দু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের জেরে উপজেলা যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক সাজ্জাদুল ইসলাম স্বপন ও তার ঘনিষ্ঠ বিল্লাল মাস্টারের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আলমডাঙ্গা দারুস সালাম ময়দানে যুবলীগের ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ওই ইফতার মাহফিলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সামসুল আবেদীন খোকন ও চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান জিপুসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সকল নেতৃবৃন্দের সামনেই ইফতার বণ্টনকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দু গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার জের ধরে যুবলীগের একটি অংশ উপজেলা যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক সাজ্জাদুল ইসলাম স্বপনের এরশাদপুরস্থ চাতাল মোড়ের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। সে সময় স্বপনের ঘনিষ্ঠ বিল্লাল মাস্টারের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এ সময় দুই যুবলীগ কর্মী তৌফিক ও বিএম নাহিদ আহত হন। এ হামলার ঘটনার সময় স্বপন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না, নেতৃবৃন্দের সাথে ছিলেন। সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি বলেন, আপনারা আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। যারা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো। আলমডাঙ্গায় কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হতে দেব না। সে সময় এলাকার বহু মানুষ ভীড় জমান।

এ বিষয়ে লিখিত বক্তব্যে যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুল ইসলাম স্বপন উল্লেখ করেছেন, আমাদের এ ইফতার মাহফিল পণ্ডু করার জন্য তারা পূর্ব থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলো। তারা বিভিন্ন সময়ে স্বপনের কাছে টাকা দাবি করে আসছিলো। ঘটনার দিনও তার নিকট টাকা দাবি করে। কিন্তু টাকা দিতে স্বপন অপারগতা প্রকাশ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সাবেক কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম রিফাত, সোহেল রানা শাহিন, সাদেকুর রহমান পলাশ, আব্দুল কাদের রানা, আলম হোসেন, তরারেক হোসেন ও তরিকুলের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন এ হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা ৪টি বৈদ্যুতিক মিটার, ৪টি থাই গ্লাস, একটি এয়ার কন্ডিশনার ভাঙচুর করে। তিনি এ সকল দুস্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান। এ ঘটনায় রাতে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিলো।